এক বছর বিরতির পর আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দল। লক্ষ্য সাউথ আফ্রিকা সিরিজ ও আগামী বছর টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ বাছাইপর্ব।
তবে বহুল আলোচিত পাকিস্তান সফরেরও সম্ভাবনা এখনও ক্ষীণ। দীর্ঘ বিরতি শেষে আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে উদগ্রীব ‘টিম-টাইগার্স’। তবে বাংলাদেশের মেয়েদের দাবি, ভালো পারফরম্যান্সের জন্য নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার বিকল্প নেই।
২০১১’র নভেম্বরে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায় টিম টাইগার্স। চার বছরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ কমই এসেছে। গত বছর এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানের কাছে হেরে এক বছরের লম্বা বিরতি।
অবশেষে আবারও আন্তর্জঅতিক ক্রিকেটের হাতছানি। অক্টোবরে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজ। মাঝের বিরতিটা লম্বা হওয়ায় আগেভাগেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। পুরোদস্তুর ব্যস্ত সালমা-আয়েশারা।
টিম টাইগার্স মতো না হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বলার মতো সাফল্য আছে মেয়ে ক্রিকেটারদেরও। সাকিবের মতোই আইসিসি’র অলরাউন্ডারদের তালিকায় সবার ওপরে ক্যাপ্টেন সালমা। তবে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা কিংবা প্রচারের আলো, ছেলেদের চেয়ে বেশ পিছিয়ে মেয়েরা। এ নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই তাদের।
জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলে অধিনায়ক সালমা খাতুন জানান, তারা সাউথ কোরিয়া থেকে আসার পর শেষ দশদিন বারো দিন করে দুইটা ক্যাম্প করেছিলেন। সামনে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজ তাই মূলত তাদের এই ক্যাম্প।তবে নভেম্বরে কোয়ালিফাইয়ের আগে সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে একটা ম্যাচ খেলবে তারা।
২০১৪ সালে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা-আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৬’র পরবর্তী আসরে সেই সাফল্যকে টপকাতে চায় টিম টাইগার্স। তার আগে অবশ্য থাইল্যান্ডে বাছাই পর্ব। এজন্য দীর্ঘ মেয়াদী প্রস্তুতি ও নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ চান তারা।
সালমা আরো জানান, তাদের জেলা পর্যায়ের খেলাগুলো হচ্ছে না ,আর ইন্টারন্যাশনাল খেলার জন্য বিসিবি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সাউথ আফ্রিকা বিপক্ষে হোম সিরিজের আগে পাকিস্তান যাওয়ার সম্ভাবনাতেও ধীর গতি। সরকার কিংবা বিসিবি থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি এখনও খোলাসা না হওয়ায় এখনও প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যাচ্ছে মহিলা ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর।