টানা কয়েক দফা দাম কমার পর আন্তর্জাতিক বাজারের আবার দাম বেড়েছে স্বর্ণের। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বেড়েছে। শনিবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম সংশোধনের দায়িত্বে থাকা সংস্থা বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। রোববার থেকে বাজারে নতুন মূল্য কার্যকর হওয়ার কথা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ভরিপ্রতি ১ হাজার ৫শ’ ১৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ৪৩ হাজার ২ শ’ ৭৩ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। যা গত ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফলে ক্রেতাদের সামান্য আশার আলোটুকুও এখন নিভুনিভু।
আন্তর্জাতিক বাজারের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কমানো হলেও বাস্তবে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারে স্বর্ণের দামের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম এ পর্যন্ত শেষ কমানো হয় গত ৬ আগস্ট। তখন ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ছিলো ভরিপ্রতি ৪১ হাজার ৭শ’ ৫৭ টাকা। কিন্তু ওই সময় আন্তজার্তিক বাজারে একই পরিমাণ স্বর্ণের দাম ছিলো ৩শ’ ৭৪ মার্কিন ডলার ৪৯ সেন্ট, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ২৯ হাজার ৯শ’ ৫৯ টাকা। অর্থাৎ দাম কমলেও দেশের বাজারে প্রতি ভরিতে প্রায় ১১ হাজার ৮শ’ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছিলো ক্রেতাদের।
শনিবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিলো ১ হাজার ১শ’ ২৮ মার্কিন ডলার ১০ সেন্ট। সে অনুসারে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরির দাম আসে ৩শ’ ৮৭ ডলার ৭৫ সেন্ট। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩১ হাজার ২০ টাকা। বাজুসের নির্ধারিত মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের তুলনায় ১২ হাজার ২শ’ ৫৩ টাকা বেশি!
অর্থাৎ স্বর্ণের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের লোকসানের পরিমাণও বেড়েছে। দাম কমলে লোকসান খুব একটা কম হয় না। দাম বাড়ুক, বা কমুক, বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণ কিনতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে মূল্য পরিশোধ করে ক্রেতাদের ঠকতেই হচ্ছে।