চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ

সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শেরে বাংলা নগর থানার এসআই জলিলের নেতৃত্বে একদল সাদা পোশাকের পুলিশ তাকে নিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

পুলিশ বলেছে, পঙ্গু এ সাংবাদিক সম্প্রতি ফেসবুকে তার জীবন অাশংকার কথা জানিয়েছেন। তার কিছু হলে কয়েকজন দায়ী থাকবেন বলে উল্লেখ করেছেন। এসব বিষয় জানার জন্য তার সঙ্গে কথা বলা হবে।

তার বাবাকে তুলে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রবীর সিকদারের ছেলে সুপ্রিয় সিকদার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমার বাবা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন, সে জন্য গত ২২ জুলাই শেরে বাংলা নগর থানায় তিনি একটি জিডিও করতে যান। কিন্তু পুলিশ তার জিডি গ্রহণ না করে জলিল নামের একজন এসআইকে তার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেয়।

‘আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে জলিল এস আই বাবার ‘উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ’ এর অফিসে এসে বাবাকে নিয়ে যেতে চান। সেসময় জলিলের সাথে আরও কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশ ছিলেন। আমি তাকে বলি আপনারা যান, আমি বাবাকে নিয়ে থানায় আসছি। কিন্তু তারা আমার কথা উপেক্ষা করে বাবাকে গাড়িতে তুলে নেন,’ বলে জানান সুপ্রিয় সিকদার।

‘আমি পুলিশের গাড়ির পেছন যেতে থাকলে খামারবাড়ির কাছে এসে পুলিশের গাড়িটি থামে। সেসময় পেছন থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাস এসে বাবাকে পুলিশের গাড়ি থেকে তুলে নেয়,’ বলে তিনি দাবি করেন।

‘আমি মাইক্রোর পেছনেই যেতে থাকি। গাড়িটি মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে থামে। এখন পর্যন্ত বাবাকে ডিবি কার্যালয়েই রাখা হয়েছে,’ বলে প্রবীর সিকদারের ছেলে জানান।

কি কারণে প্রবীর সিকদারকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিয় বলেন: ২০০১ সালে দৈনিক জনকণ্ঠে ‘সেই রাজাকার’ নামে বাবা একটি কলাম লেখেন। সেই কলামে মুসা বিন শমসেরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিতর্কিত ভূমিকা তুলে ধরা হয়। এরপর মুসা বিন শমসের বাবার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তখন বাবা একটি পা হারান, যার ক্ষত তিনি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন।

‘আবার ২০১৪ সালের দিকে মুসা বিন শমসের দেশের একটি অনলাইনে নিজেকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তুলনা করে একটি লেখা ছাপেন। এটা সহ্য করতে না পেরে বাবা জনকণ্ঠে প্রকাশিত ২০০১ সালের লেখাটি আবারও ‘উত্তরাধিকার নিউজ ৭১’ এ ছাপেন। এতে মুসা বিন শমসের বাবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বাবার উপর হামলা হতে পারে এ আশংকায় বাবা থানায় জিডি করতে যান। কিন্তু পুলিশ তার জিডি না নিয়ে এস আই জলিলকে তার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে বলেন। সেই পুলিশ উল্টো আজ তাকে তুলে নিয়ে গেলো,’ বলে দাবি করেন সুপ্রিয়।