চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মুশতাকের বাড়ি ঘেরাও করতে দেয়নি পুলিশ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী খুনি খন্দকার মুশতাকের বাড়ি ঘেরাওয়ের চেষ্টাকালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় তাদের সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।

তবে পুলিশ আগে থেকেই ঐ বাড়িটি ঘিরে রাখায় এবং সড়কে বালির ট্রাক্টর ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারেনি নেতাকর্মীরা। সড়কের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে কর্মসূচি সমাপ্ত করতে হয়েছে তাদের।

দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) মোহাম্মদ আলী সুমন রবিবার বিকাল ৪টায় শহীদনগর থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে সুন্দলপুর ইউনিয়নের দশপাড়া গ্রামে মুশতাকের বাড়ি ঘেরাও করে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচিকে ঘিরে আইন শৃংখলা বাহিনী বাড়িটি ঘিরে রাখে। সেই সাথে দশপাড়া সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়।

দাউদকান্দির শহীদনগর ট্রমা সেন্টার থেকে মিছিল নিয়ে মুশতাকের বাড়ি ঘেরাওয়ের জন্য যাওয়ার সময় শহীদনগর-জুরানপুর সড়কের বাগুলপুর এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বালির ট্রাক্টর রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

এ সময় পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মী দশপাড়ায় মুশতাকের বাড়ি যেতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ঘিরে রাখে। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি করে ব্যারিকেড ভাঙ্গতে না পারায় সড়কে বসে বিক্ষোভ করতে থাকে নেতাকর্মীরা। প্রায় দেড় ঘন্টা রাস্তায় অবস্থান করে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে মুশতাকের বাড়ি বাজেয়াপ্তের দাবি জানানো হয়।

আজ সকাল থেকে ব্যাপক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মুশতাকের বাড়ি ঘিরে রাখে । পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন নজরদাড়িতে রাখে পুরো এলাকা। আশপাশের সড়ক ও এলাকায় জোরদার করা হয় পুলিশি টহল । নজরদারি করা হয় মানুষের গতিবিধির উপর।

সড়কের আশপাশ, ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন দোকানে সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। যে কোন অপ্রীতিকর বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিয়োগ করা হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী আফরোজকে।

দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্তক অবস্থায় ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার স্বার্থে ঐ বাড়ি নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ।