তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে প্রবীর সিকদার বলেছেন, “সাংবাদিকদের সক্রিয় ভূমিকা আমি সারা জীবন মনে রাখবো।” বুধবার বেলা ১ টা.৫০ মিনিটে তিনি জেল থেকে বেরিয়ে একথা বলেন। এসময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি সারা বাংলাদেশের সাংবাদিক, পেশাজীবী সমাজ, মানবাধিকারসমাজ ও গণজাগরণ মঞ্চসহ যারা মুক্তিতে ভুমিকা রেখেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
জেল থেকে বের হয়ে প্রবীর সিকদার প্রথমে প্রেসক্লাবে ক্লাবের প্রাঙ্গনে মাটি ছুয়ে ছালাম করেন। ক্লাব এলাকায় ঢুকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে নিজ বাড়ি ফরিদপুরের কানাইপুরে উদ্দেশ্য রওয়ানা হন। পরে ঢাকার উদ্দ্যেশে রওয়ানা হবেন বলে জানা যায়।
এরআগে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে জামিন দেয় ফরিদপুরের ১নং আমলী আদালত। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ হামিদুর রহমান তার জামিন মঞ্জুর করেন। বুধবার সকালে রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
প্রবীর সিকদারের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু জানান, তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা একদিনের পরই আর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই বিবেচনা করে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করেন। এসময় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনিমেষ রায় জানান, প্রবীর সিকদারের স্ত্রী তার স্বামীর পক্ষে ভুল স্বীকার করে জামিনে বাঁধা না দেয়ার জন্যে অনুরোধ করে। আমরা প্রবীর সিকদারের পারিবারিক মর্যাদা বিবেচনা করে জামিনে বাধা দেইনি।
জামিন দেয়ায় প্রবীর সিকদারের স্ত্রী অনিতা সিকদার বলেন, আমার স্বামী জামিনে মুক্তি পাওয়ায় আমি খুশি। আপনারা দোয়া করবেন।
নিজের প্রাণহানির আশংকার কথা উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীসহ তিনজনের নাম দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিলে রোববার সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ফরিদপুরে। মঙ্গলবার তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে তোলা হলে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।