যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার জন্য কারা বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাত দিন সময় পাবেন। তবে তিনি প্রাণ ভিক্ষা চাইবেন কিনা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।
প্রাণ ভিক্ষার ব্যাপারে মীর কাসেম কারা কর্তৃপক্ষের কাছে কিছুটা সময় প্রার্থনা করেছেন এবং কর্তৃপক্ষও তাকে যৌক্তিক সময় দেবে। আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব জানান।
তবে কাশিমপুর নাকি পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে এ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর করা হবে, এ বিষয়ে পরিস্কার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে আইজি প্রিজন বলেন: আমরা এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। শেষ সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে দুপুরে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে যান তার পরিবার। আর সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া রিভিউয়ের রায় মীর কাসেম আলীকে পড়ে শোনানো হয়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে মীর কাসেম আলীর আবেদন খারিজ করে দেয়া আপিল বিভাগের রায়ের কপি কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
এ দিন সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে তার রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এরপরে প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে যে কোনো সময় কার্যকর করা হবে তার ফাঁসি।
জামায়াতের অন্যতম প্রধান অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ১০ টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে দুটি অভিযোগে।