মাশরাফী সাবলীলভাবে দুঃখ প্রকাশ করে ভিডিওবার্তা প্রকাশ করলেও বিপাকে পড়েন শুভাশিস। তাসকিনের ফেসবুক লাইভে অনেক চেষ্টা করেও কথা বলতে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে মাশরাফীর দ্বারস্থ হতে হয় তাকে।
‘ভাই সরি, ভাই সরি। একটু বলে দেন। লাইভে আছি,’ শুভাশিসের কাছে তাসকিন ফোন তুলে দিলে এভাবেই তিনি মাশরাফীকে অনুরোধ করেন।
বুধবার চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের রান তাড়ার ১৭তম ওভারে মাশরাফীর সঙ্গে লেগে যায় শুভাশিসের। শুভাশিসের করা ইয়র্কর ডিফেন্স করেন মাশরাফী। নিজের বলে ফিল্ডিং করেই স্ট্রাইক প্রান্তে বল ছুঁড়তে উদ্যত হন তরুণ পেসার। তখন মাশরাফী শুরুটা করেন। ইশারায় বললেন, ‘ফিরে যা’।
মাশরাফীর দিক থেকে এমন বার্তা পেয়ে শুভাশিস তেড়ে আসেন। সতীর্থরা থামানোর চেষ্টা করলে আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
ঘটনা সূত্রে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফী দুঃখ প্রকাশ করার পর ফেসবুকে ভিডিওবার্তার মাধ্যমেও আরেকবার ক্ষমা চান।
মাশরাফীর ভিডিও বার্তার পর তাসকিন ফেসবুক লাইভে আসেন। সঙ্গে ছিলেন বিজয়, শুভাশিস এবং মাশরাফী। তাসকিন দুষ্টুমির ছলে শুভাশিসকে ভাঙাড়ু বলে পরিচয় করিয়ে দেন, ‘এই যে আজকের ভাঙাড়ু। আজকে একটা ঘটনা ঘটেছে। আসলে খেলার মাঠে ভুল হয়ে গিয়েছিল।’
এরপর ফোন যায় ‘ভাঙাড়ু’ শুভাশিসের কাছে। তিনি উদ্ধার পান ওই মাশরাফীর মাধ্যমে, ‘আমি আর ও পুরোপুরি ঠিক আছি। আপনারাও ঠিক থাকেন। শান্তিতে থাকেন। সামনে আবার দেখা হবে।’