সরকারীকরণের আশায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ায়। শিক্ষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন বঞ্চিত থাকায় এখন চাকরির সুযাগ পেয়েছেন তারা। এ হিসেবে একসময় সরকারী শিক্ষক হবেন এমনও প্রত্যাশা তাদের।
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানার দাশিয়ারছড়া। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশের অংশ হয়ে যাওয়ার পর থেইে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে এখানে। বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোর মধ্যে এই দাশিয়ারছড়াই সবচেয়ে বড়। ১ হাজার ৭শ’ ৪৩ একরের এই এলাকার লোকসংখ্যা প্রায় ৯ হাজার।
এদের মধ্যে লেখাপড়া করছে এক হাজারের কিছু কম শিক্ষার্থী। দীর্ঘ ৬৮ বছরের গ্লানি, বঞ্চনা থাকায় শিক্ষায় পিছিয়ে এই জনপদের মানুষ। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হবার পর প্রতিষ্ঠা পেতে থাকে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এরই মধ্যে সরকারী ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি কলেজ ও ৩টি মাদ্রাসায় শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সংকট রয়েছে।
শিক্ষকরা বলছেন, নিজেদের ভালোর জন্যই এই স্কুলগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
স্কুলের শিক্ষকরা বলছেন, এখানের সবাই শিক্ষিত , তাই সবার আশা অনেক। নতুন বাংলাদেশ পেলাম এখন দেশ থেকে অনেক কিছু পাওয়ার আছে ও দেয়ারও আছে।
স্থানীয়দের আশা অগ্রাধীকারের ভিত্তিতে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে জাতীয়করণের আওতায় আনবে সরকার। তবে শিক্ষকদেরই একঅংশ বলছেন, এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অতিরিক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় সমনে নতুন করে সমস্যা তৈরি হবে।