সময় মতো জোরালো আন্দোলনের ঘোষণা আসবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আন্দোলনে আছি। আর সময় মতো জোরালো আন্দোলনের ঘোষণা আসবে। আপনারা দেখতে পাবেন।
‘আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হবে। এর জন্য যেমন দায়িত্ব সরকারের। তেমনি সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমকেও।’
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলটির জরুরি যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতির জন্য এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
দলের মহাসচিব বলেন, দেশ যখন নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে এবং যখন মহাসংকটে। ঠিক তখনই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের হাল ধরেছিলেন। তিনি আজ থেকে ৪০ বছর আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন।
‘আজ দুর্ভাগ্য আমাদের। যিনি জনগণের জন্য ত্যাগ করেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেই তিনিই আজ কারাগারে। যে আওয়ামী লীগ ’৭৫ এ বাকশাল করে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল তারাই জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে দেশে পুনরায় স্বৈরশাসন কায়েম করেছে। আর গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দী রেখেছে।’
আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ধ্বংস করতে চায় উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, বিএনপি মানুষের হৃদয়ের দল। মানুষের ভালোবাসার দল। এই দলকে ধ্বংস করা যাবে না। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান; যিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে আছেন তার বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা তৈরি করে সাজা দেয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হবে সরকার।
‘গতকাল একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নিয়ে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আমরা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু আফসোস আজকের কোনো প্রিন্ট মিডিয়ায় সে খবরকে গুরুত্ব দেয়া হলো না। আমি জানতে চাই কেন গুরুত্ব দেয়া হয়নি? আমরা জানি। আপনাদেরকে পেছন থেকে বলে দেয়া হয়েছে এটা এভাবে প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু জনগণ সব দেখছে। তারা সব জানে। জনগণ ফুঁসে উঠছে। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আবারও সামনে আসবে। আর যারা আজকে আবারও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে তাদের ক্ষমতা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যিনি একুশে আগস্টে জড়িত না তাকে অন্যায়ভাবে জড়ানো হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে উল্টাপাল্টা বলা হচ্ছে। হিরক রাজার দেশের মতো আপনারা যা বলবেন তা হবে না। জনগণ ঘুরে দাঁড়াবেই।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব যৌথসভায় গৃহীত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে রয়েছে; ১ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকাসহ সারাদেশে দলীয় পতাকা উত্তোলন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ এবং বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে জনসভা।
এছাড়া ২ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রিজভী জানান, এরই মধ্যে জনসভার জন্য অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদনও করা হয়েছে।