চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সম্প্রসারিত হচ্ছে মিরাশার চাষি বাজার

কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বাড়ানো হচ্ছে শরীয়তপুরের মিরাশার চাষি বাজারের পরিধি।

২০০৮ সালে কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে মাত্র ৩২ শতক জমির ওপর স্থাপিত বাজারটির আয়তন পৌঁছে গেছে এক একরে। এখন প্রতিদিনই বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাজারটি কৃষক, পাইকার ও ক্রেতা ও বিক্রেতার পদচারণায় সরগরম থাকছে।

৮ বছরে মিরাশার চাষি বাজারটি পরিণত হয়েছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় কৃষি বাজারে। নভেম্বর থেকে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত বাজারটি জমজমাট থাকে অনেক বেশি।

শরীয়তপুরের জাজিরার মিরাশার চাষি বাজারের কৃষক বলেন, এখানে কাঁচামাল নিয়ে আসি আমরা ভালো বেচাকেনা হয় কাউকে কোন টাকা দিতে হয় না।

প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দূর দূরান্তের পাইকারের সমাগম ঘটে এই বাজারে। শরীয়তপুরের জাজিরার মিরাশার চাষি বাজারের স্থানীয় পাইকার ও বাজার কর্তৃপক্ষ আবদুল জলিল বলেন, অনান্য বাজারের তুলনায় কৃষকরা অনায়াসে কোনো ঝামেলা ছাড়াই বিক্রি করতে পারে। কৃষরা নায্য দাম পায় সেজন্য তারা অনান্য বাজারের তুলনায় এখানে বেশি আসে।

জেলার বাইরে থাকা আসা পাইকার কৃষক ও পাইকারের সুবিধা ও চাহিদার কথা চিন্তা করে বাজারের পরিধি আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শরীয়তপুরের জাজিরার মিরাশার চাষি বাজারের বহুমুখী সমবায় সমিতি সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, ধীরে ধীরে বাজার উন্নত হচ্ছে, দূর-দূরান্তের মাল এখানে আসতেছে সেই সাথে মালগুলো অনান্য যায়গায় বিক্রির জন্য যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো বেশী পণ্য আনা-নেওয়া হবে।

প্রতিদিন এই বাজারে বেচাকেনা হয় গড়ে ৪৫ থেকে ৫০ লাখ টাকার সবজি।