চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল সারাদেশের অনেকেই। ফেসবুকে নিজেদের মনের কথা প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। তাকে নিয়েই এবার ফেসবুকে পোস্ট দিলেন এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নী সাহা।
ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, বছর তিন হবে। চট্টগ্রাম থেকে ফিরছি। হঠাৎ মুহূর্মুহু টেলিফোন…. ‘অভিনন্দন, আপনাকে কন্যা হিসেবে গ্রহণ করার কোনো কাগজ পত্র অাছে নাকি?’
প্রথমে কিছুক্ষণ বুঝিনি, পরে সাংবাদিক বন্ধুরাই পরিস্কার করেছেন, চট্টগ্রামের বরেণ্য নেতা, সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরি স্বাক্ষরিত একটি প্রেস রিলিজ পেয়ে সকলে আমার অনুভূতি জানতে চেয়েছেন।
আমি?
আমি বিস্মিত অভিভূত!
আমরা সাংবাদিকরাই বোধহয় এমন… সবটাতেই কারণ খুঁজি, অকারণ খুঁজি, কাগজপত্র.. ডকুমেন্ট খুঁজি। মহিউদ্দিন চৌধুরি আর মুন্নী সাহার পিতা কন্যার সম্পর্ক যদি প্রচার হয়… তাহলে তো খোঁজাখুজি আরো বেশি!
এরপরে তিনি লিখেছেন, তাই চট্টগ্রামের প্রায় সব সাংবাদিক বন্ধুদের একটি ঘটনাই বললাম… সাধারণের এই নেতা ২০০৭/২০০৮ জেলে ছিলেন, অন্য অনেক বড় নেতাদের মতই। সে সময় তার এক কন্যা মারা যান। প্যারোলে মুক্তি পেয়েও অসুস্থ সে মেয়েকে শেষ দেখা দেখতে পাননি চট্টলার এই জননেতা।
আবারো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ঢুকেছেন। তার লোকজন দিয়ে খবর দিলেন, আমাকে দেখবেন। গেলাম, নিয়ম কানুন মেনেই…!
মহিউদ্দিন চৌধুরি তার টিপিক্যাল চাঁটগা উচ্চারণে বলছেন, ‘আপনার জন্য পেট পোড়ে, টুম্পা চলে যাওযার পর, আরো বেশি পোড়ে- জেলখানায় তো টিভিও দেখতে পারিনা! তাই অশোক রে বলছি।’
এই ‘পেটপোড়ার’ কি কোনো গ্রামার আছে? ঘটনাটা বলে আমিই পাল্টা প্রশ্ন করেছি, ফোনে আমার অনুভূতি জানতে চাওয়া সাংবাদিক বন্ধুদের।
তার সাথে নানান সময়ের নানান স্মৃতি। যখনই উল্টেপাল্টে একেকটা ঘটনার প্যান্ডোরা খুলি, পরতে পরতে যেন একটু এক্সট্রা বাৎসল্য এক্সট্রা বকাঝকা।
সবশেষে এই সাংবাদিক লিখেছেন, আমি জানি, চট্টগ্রামে পা রাখলেই, আমার বুকটা খালি খালি লাগবে। এরও কোনো গ্রামার নাই! যেখানে থাকুন, এই মিলিয়ন ডলার হাসি নিয়ে থাকুন, সম্পর্কের গ্রামারহীন আমার পিতা!