টন্টন থেকে: গলায় ঝোলানো কার্ডের ফিতায় বড় করে লেখা ভিআইপি। হেঁটে হেঁটে যাচ্ছেন ভিআইপি স্ট্যান্ডের দিকে। তাকে ঘিরে কয়েকজন দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের জটলা। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটা নিয়ে একটু কথা শোনার চেষ্টা। মুখে কুলুপ এঁটে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলা লোকটির নাম জোয়েল গার্নার। উইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার।
সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের অফিস ভবনের বাইরের দেয়ালে সাঁটানো পাশাপাশি দুটি ছবি। একটিতে স্যার ভিভ রির্চাডসের, অন্যটি গার্নারের। ভিআইপি গ্যালারির খুব কাছে যেতেই গার্নারের চোখে পড়ল নিজের ও বন্ধু ভিভের ছবিতে।
বয়স ৬৬ হলেও হাঁটাচলায় সেটির ছাপ নেই। ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার এই সাবেক বোলার ‘বিগ বার্ড’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ৫৮ টেস্টে ২৫৯ উইকেট নেয়া পেসার ছিলেন ব্যাটসম্যানদের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক।
গার্নার ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত খেলেছেন সমারসেট কাউন্টির হয়ে। ভিভ খেলেছেন আরও বেশি, একযুগ। তাদের কথা ভালভাবেই মনে রেখেছে সমারসেট। স্টেডিয়াম চত্বরে বিশাল ছবি ও তাতে লেখা সেই অবদানের কথা। দেয়া হয়েছে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখার আমন্ত্রণপত্র।
জোয়েল গার্নার ১০ বছরে ৯৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সমারসেটকে দিয়েছেন ৩৩৮টি উইকেট উপহার। ১৩ বছর সমারসেটের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৯১ ম্যাচে ১৪,৬৯৮ রানের পাশাপাশি ভিভ নিয়েছেন ৯৬ উইকেট।
ফর্মের তুঙ্গে যখন দুজনে, তখন এ ক্যারিবীয় জুটি সমারসেটে কাটিয়েছেন এক দশক। সেই স্মৃতি বাঁধাই করে রেখেছে সমারসেট।
ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক ইয়ান বোথাম ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময় পার করেছেন সমারসেটে। আরেক সাবেক অধিনায়ক মার্কাস ট্রেসকোথিক খেলছেন এখনও। একটা রেকর্ডও হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। ১৯৯৩ সালে থেকে ২০১৯, ক্যারিয়ারের ২৬টি বসন্ত কাটিয়েছেন তিনি একটি কাউন্টিতে।