যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বন্দুকধারী দম্পতির হামলায় ১৪জন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশের উপর ‘পূর্ণ’ নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে।
ট্রাম্পের দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে এবং পশ্চিমা দেশের নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতির তুলনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রবাসী বাঙ্গালি শিক্ষক ও গবেষক আমিনুল ইসলাম। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন:
আমেরিকার রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ঘোষণা করেছেন
– আমেরিকায় সব রকম মুসলমানদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয়া উচিত!
এই নিয়ে এখন আমেরিকা ও পুরো পৃথিবীতে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অথচ আমেরিকার সংবিধানে পরিষ্কার বলা আছে, যে যার ধর্ম স্বাধীন ভাবে পালন করবে। ধর্মীয় কারণে কারো প্রতি বৈষম্য করা যাবে না।
অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, এই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আমেরিকার সংবিধান বিরোধী কথা বলেছেন-এর জন্য কেউ তাকে গ্রেপ্তার করবে না কিংবা তাকে সাম্প্রদায়িকও বলছে না কেউ! এর চাইতেও অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, এই ঘোষণা দেয়ার পর তার জনপ্রিয়তা হু হু বেড়ে গেছে আমেরিকায়!
জঙ্গিবাদের সাথে কিছু মুসলমান হয়তো জড়িত। তাই বলে সকল মুসলমানকে এক পাল্লায় মেপে তিনি এখন- কোন মুসলমাদের আমেরিকায় ঢুকতে দিতে চাইছেন না! কিন্তু আমেরিকাতে এর মাঝেই যে সব মুসল্লি আছে, তাদের কি হবে? ধর্মীয় সংখ্যালঘু এই মানুষ গুলোতো এখন দেখছে, নিজ দেশে তারা পরবাসী হয়ে যাচ্ছে! এইভাবে কি জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব! কে বুঝাবে এদের, এভাবেই জঙ্গিবাদের বীজ বপন করা হয়!
আমরা অনেকেই বলে থাকি, পশ্চিমা দেশ গুলো অনেক উদার ও অসাম্প্রদায়িক। অথচ আমাদের দেশে নির্বাচনের সময় কোন দিন কোন দলের প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী এই ধরনের মন্তব্য প্রকাশ্যে (ভেতরে কি মনে করেন, সেটা ভিন্ন আলোচনা) করেছেন কিনা অন্তত আমার মনে পড়ে না! কিংবা করলেও তার জনপ্রিয়তা কোন দিনই বাড়বে না বরং একদম কমে যাবে। অথচ এই পশ্চিমা দেশ গুলো বলে থাকে -আমরা নাকি সভ্যতার থেকে অনেক দূরে! হায়রে “সভ্যতা”, তুমি নিজেই জানো না, তুমি কতোটা “অসভ্য!”