চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বছরের ব্যবধানে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৫৪ শতাংশ

সন্ত্রাস ও জঙ্গি অর্থায়ন আর মানি লন্ডারিংয়ে গত এক বছরে এক হাজার ৬৮৭টি সন্দেহজনক লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। যা তার আগের বছরের তুলনায় ৫৪ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরের ব্যবধানে আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জঙ্গি অর্থায়ন ও মানি লন্ডারিংয়ে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৮৭টি। আর তার আগের অর্থবছর (২০১৪-১৫) হয়েছিল এক হাজার ৯৪টি। সেই হিসেবে এক বছরে এই লেনেদেনের সংখ্যা বেড়েছে ৫৯৩টি, যা আগের বছরের চেয়ে ৫৪ শতাংশ বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আলোচ্য অর্থবছরে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, ক্যাপিটাল মার্কেট সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং দেশের বাইরে অর্থ পাঠানো ও নিয়ে আসায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান এই সন্দেহজনক লেনদেনগুলো করেছে। প্রতিমাসে গড়ে ১৪১টি করে এসটিআর পেয়েছে বিএফআইইউ। আগের অর্থবছর প্রতিমাসে এসটিআর এসেছিল ৯১টি করে।

এতে আরো বলা হয়, ‘অর্থপাচার, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন, চোরাচালানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ টাকার লেনদেন বাড়ছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নগদ লেনদেনের এক কোটি ২৭ লাখ রিপোর্ট (সিটিআর) পাঠিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব লেনদেনে সংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমাণ ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের তুলনায় এ অর্থবছরে সিটিআর বেড়েছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।’

জঙ্গি বা সন্ত্রাসে অর্থায়ন, ঘুষ-দুর্নীতি, মানবপাচার, চোরাচালান, মুদ্রা জাল করাসহ যেকোন অপরাধের মাধ্যমে অর্থ আয়, অর্থ পাচার ও বেআইনি লেনদেনকে সাধারণভাবে মানি লন্ডারিংয়ের আওতায় আনা হয়। আবার ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি পরিমাণের নগদ লেনদেন হলেও তার প্রতিবেদন (সিটিআর) বিএফআইইউতে পাঠাতে হয়।

তবে সন্দেহজনক লেনদেন মানেই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, এমনটা নয়। আর সিটিআরও কোনো অপরাধের প্রতিবেদন নয়। তবে এর মধ্যে অপরাধ থাকতেও পারে বলে প্রতিবেদনে এসব লেনদেন অর্ন্তভুক্ত করা হয়।