নিজের চার বছর বয়সী সন্তানকে হত্যায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পিতা জসীমের সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
অন্য কোনো মামলা না থাকলে ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে থাকা এই আসামিকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ে বহাল থাকা মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে জসীমের করা আপিল আংশিক মঞ্জুর করে মঙ্গলবার রায় এই রায় দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল বেঞ্চ।
আদালতে জসীমের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে জসীমের শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তার স্ত্রী ও শিশুসন্তান শামীম। ২০০৭ সালের ৩১ মার্চ রাতে ভাত খাওয়ার সময় জসীম তার শাশুড়ির কাছে দুই হাজার টাকা চান। একপর্যায়ে জসীমকে তার শাশুড়ি ঝাড়ুপেটা করেন এবং শিশুসন্তানকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।
তখন শিশুটি আঘাত পায়। পরবর্তীতে শিশু শামীম হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর শিশুটির মা ফাতেমা বেগম তার স্বামীর বিরুদ্ধে মেহেন্দীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ২০০৮ সালের ২৮ জুলাই সে মামলার রায়ে জসীমের মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে জসীমের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর জসীমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে জসীম জেল আপিল করেন। সেই জেল আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দিলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।