বিশ্বের কিছু দেশ ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার পর ‘বুস্টার ডোজ’ দেওয়া শুরু করেছে। এ অবস্থায় এদেশেও ‘বুস্টার ডোজ’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তবে সরকারের দায়িত্বশীলরা বলছেন, বুস্টার ডোজের চেয়ে এখন দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়াই মূল লক্ষ্য। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার স্থায়ীত্ব নিয়েও গবেষণা চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৯ আগস্ট ১৬ হাজার ৮৯৮ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং নয় হাজার ১১৭ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ০৫ শতাংশ। এই অবস্থার মুখে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হচ্ছে। গত ৮ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ শুরু হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত প্রায় সবগুলো ভ্যাকসিনের কমবেশি দেশে প্রয়োগ করা হয়েছে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর পর থেকে দেশে এ পর্যন্ত ২৯ আগস্ট ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৭ ডোজ। এরমধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জন।
উপরের তথ্য থেকে বোঝা যায় বিরাট জনগোষ্টি এখনও ভ্যাকসিন কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বুস্টার ডোজের পথে না হেঁটে সবাইকে ভ্যাকসিন কার্যক্রমে নিয়ে আসার এই চিন্তাভাবনা খুবই ইতিবাচক।
বর্তমানে যথেষ্ট পরিমাণে ভ্যাকসিন মজুদ আছে এবং বিভিন্ন সোর্স থেকে এখনও আসছে ভ্যাকসিন। করোনা নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। যুক্তরাষ্ট্র-ভারতসহ নানা দেশ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে করোনাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বরাবরই বলে আসছে, বিশ্বের প্রায় সব মানুষের দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা না গেলে মহামারি ঠেকানো যাবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতির সাথে সমন্বয় রেখে বাংলাদেশের প্রধান ও একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত বেশির ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা। তাহলে হয়তো খুব দ্রুতই দেশ করোনা মুক্ত হবে।