গত ৪ এপ্রিল ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক মারা গেছেন। তার মৃত্যুর পর শুন্য এই আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য হতে চান চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
প্রয়াত এমপি আসলামুল হক ছিলেন ডিপজলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাই ডিপজলের ইচ্ছে, নৌকার মাঝি হয়ে আসলামুল হকের অর্ধসমাপ্ত কাজগুলো তিনি শেষ করবেন।
ডিপজল তার ফ্যানপেজে ঢাকা ১৪ আসন থেকে আ’লীগের এমপি হতে চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে ঢাকা – ১৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেন, আমার এলাকার মানুষ এর সেবা করার সুযোগ দেন, তাহলে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী।’
পরে চ্যানেল আই অনলাইনকে মুঠোফোনে ডিপজল বলেন, আজীবন নিজের যা অর্জন সবই মানুষের পিছনে দিয়েছি। এমপি হতে পারলে মানুষের আরও কাছে গিয়ে সেবার সুযোগ পাবো। আমার সবকিছুর বিণিময়ে মানুষের সেবা করতে চাই। বন্ধু আসলামুল হক অকালে না ফেরার দেশে চলে গেল, তার জন্য হলেও আমি মিরপুরের এই আসন থেকে নির্বাচন করতে চাই।
ডিপজল জানান, আসলামুল হক আমার অনেক ছোটকালের বন্ধু। আমাদের মধ্যে ‘তুই তুকারী’ সম্পর্ক ছিল। হুট করে এভাবে না ফেরার দেশে চলে গেল, ভাবতেই পারছি না। সে মারা যাওয়ার ৮-৫ দিন আগেও তার অফিসে দেখা হলো, আড্ডা হলো। কে জানতো এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে সে!
শোনা যায়, ডিপজল একসময়ে বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি দলটি থেকে তিনি কাউন্সিলর হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিয়ে ডিপজল বলেন, কোনো কালেই বিএনপি-তে ছিলাম না। আমাকে বিএনপি বানিয়ে রেখেছিল। যতদূর জানি বিএনপির কোথাও আমার নাম নেই। আমার প্রথম দল আওয়ামী লীগ। আমি আওয়ামী লীগের পক্ষেই নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। আমি কোনো দলের হয়ে কাউন্সিলর ইলেকশন করিনি। কেউ বলতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচন করেছি বিধায় আমি সকলের কাছে জনপ্রিয়।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি ঢাকা-১৪ (মিরপুর) আসন থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দল তাকে মনোনয়ন দেয়নি। ওই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন প্রয়াত সাংসদ আসলামুল হক।