ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগান কতটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে তা তুলে ধরার ব্যবস্থা নিচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এজন্য সরকারি কর্মকাণ্ডের সমন্বিত প্রচার ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ আরও বেশী মাত্রায় সক্রিয় হতে সংসদ সদস্যদের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এবং সংসদ সচিবালয়ের সহযোগিতায় শনিবার রাতে জাতীয় সংসদের ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়ায় ‘ডিজিটাল মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী এই উদ্যোগের প্রশংসা করে সব সংসদ সদস্যকে সামাজিক মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশকে তুলে ধরার আহবান জানান।
বক্তব্যের পর স্পীকার সংসদের ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়া জন্য উচ্চগতির ওয়াইফাই উদ্বোধন করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদের ডেপুটি স্পীকার মো: ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের সবাইকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের এই উদ্যোগ সকল সংসদ সদস্যকে ডিজিটাল মিডিয়ায় আরো বেশি সক্রিয় হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাবে।
কর্মশালার শুরুতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক “ডিজিটাল মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ” শীর্ষক এক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে অংশ নেন। এতে তিনি ডিজিটাল মাধ্যমের প্রাথমিক বিষয়গুলো সম্পর্কে খুঁটিনাটি তুলে ধরেন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন প্রচারে সবাইকে আরও বেশী সরব হওয়ার আহবান জানান।
এ সময় তিনি দেশে-বিদেশে ডিজিটাল বাংলাদেশকে সমন্বিতভাবে প্রচারে সবার সহযোগিতাও কামনা করেন।
কর্মশালায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবির কিশোর চৌধুরী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: হারুনুর রশীদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পার্থ প্রতিম দেব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহাসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।