ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে রাজ্য বিধানসভায় একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ান।
মঙ্গলবার বিধানসভার একদিনের বিশেষ অধিবেশনে এ প্রস্তাবনা পেশ করেন তিনি।
বিশেষ অধিবেশনটি মূলত রাখা হয়েছিল লোকসভা ও বিধানসভায় শিডিউলড কাস্ট ও শিডিউলড ট্রাইব গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তদের (দলিত) জন্য সংরক্ষণের মেয়াদ আরও ১০ বছর জন্য বাড়ানোর জন্য। কিন্তু নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে জনমনে ছড়িয়ে পড়া ব্যাপক উদ্বেগ ও বিরোধিতার বিষয়টি মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাবনাটি উত্থাপন করেন বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবনাটি পেশ করার সময় মঙ্গলবার পিনারাই বিজয়ান বলেন, সিএএ ভারতের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ পরিচয় এবং ভিত্তির পরিপন্থী। এর ফলে দেশে নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বৈষম্য সৃষ্টি হবে।
‘এই আইন সংবিধানের মৌলিক ভাবধারা ও মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। দেশের মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত আইনটি প্রত্যাহার করার উদ্দেশ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া,’ বলেন তিনি।
ভারতে জাতি-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে চলমান গণবিক্ষোভ বিশ্বসম্প্রদায়ের সামনে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে উল্লেখ করেন বিজয়ান। একই সঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, তার রাজ্যে সিএএ’তে অনুত্তীর্ণদের জন্য কোনো ডিটেনশন সেন্টার নির্মাণ হবে না।
বিশেষ অধিবেশনে কেরালা বিধানসভার একমাত্র বিজেপি সদস্য ও. রাজাগোপাল এই প্রস্তাবনার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, লোকসভা ও রাজ্যসভা দুই কক্ষেই সিএএ পাস হয়ে গেছে। সুতরাং এখন এই প্রস্তাবনা বেআইনি।
অন্য কেউই প্রস্তাবনাটির বিরোধিতা করেননি। বরং ইতোমধ্যে কংগ্রেসের নেতৃত্বে রাজ্যের বিরোধী দলীয় জোট ইউডিএফ বামপন্থি সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাবনা পাস করতে।