রক্তাক্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক প্রতীকে প্রথম ইউপি নির্বাচনের প্রথম দফায় আওয়ামী লীগেরই জয়জয়কার। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপিদের সংখ্যার সমানুপাতেই ইউপিতে সরকারি দল নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। বর্তমান সংসদে ৭৮ শতাংশ আসন থাকা সরকারি দলের প্রার্থীরা তৃণমূলের নির্বাচনে জয় পেয়েছে ৮০ শতাংশ ইউনিয়নে।
দলীয় প্রতীকে প্রথম ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট হয় ৩৬ জেলার ৭১২টি ইউনিয়নে। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল অনুযায়ী সব জেলায়ই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সাত বছরের বেশি সময় ধরে দেশ শাসন করা আওয়ামী লীগ।
সরকারি দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন পাঁচশর বেশি ইউপিতে। আওয়ামী লীগের দশ ভাগের এক ভাগও পায়নি বিএনপি, মানে তারা ৫০টিতেও জিততে পারেনি।
তবে দুই দলের বিদ্রোহী এবং অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রায় ১০০ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সহিংসতা হওয়া পিরোজপুরের বেশ কিছু ইউনিয়নে জিতেছে মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর দল জাতীয় পার্টি জেপি।
খুলনা বিভাগে বেশীর ভাগ ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। শুধু বাগেরহাটেই ৭৩টির মধ্যে ৭২টিতেই জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ।
চট্টগাম বিভাগের চিত্রও প্রায় একইরকম। কুমিল্লা জেলার একটিতে বিএনপি ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও অন্য সকল চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের। নোয়াখালির সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলার সব ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীরা। কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরের প্রায় সব ইউনিয়নেই বিজয়ী হয়েছে নৌকা।
ঢাকার দোহারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পাঁচটি চেয়ারম্যান পদ ভাগ করে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ময়মনসিংহের নয়টি ইউনিয়নে চারটি করে ভাগ করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, একটিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী।
তবে মাদারীপুর ও শেরপুরে বেশীর ভাগ চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে। রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগেও বেশিরভাগ ইউনিয়নে বিজয়ী আওয়ামী লীগ। বরিশাল জেলায় ৭৯টির মধ্যে ৭৩টিতেই নৌকা জয়ী হয়েছে।
সিলেটে অনুষ্ঠিত ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি করে ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছে। অন্য পাঁচ জায়গায় চেয়ারম্যান হয়েছেন দল দুটির বিদ্রোহী প্রার্থীরা।