অন্যায়-অপকর্ম করার জন্য এদেশে মীর জাফর, খন্দকার মুস্তাকরা এখনও সক্রিয় উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, চারিদিকে ষড়যন্ত্র চলছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস উপলক্ষে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন: অন্যায়-অপকর্ম করার জন্য এদেশের মীর জাফর, খন্দকার মুস্তাকরা আগস্ট মাসকেই বেছে নেয়। চলতি আগস্ট মাসেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আগস্ট মাসে আমরা শোকে মুহ্যমান থাকি ও আতঙ্কিত হই।
২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফুটবল খেলা দেখার সময় কতিপয় সেনাসদস্য ছাত্রদের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে ছাত্র সমাজ বিক্ষুদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার সান্ধ্য আইন জারী করে এবং ২৩ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক এবং ৮ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালায়। সেই থেকে এ দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেও হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। সেদিন আইভি রহমান সহ ২৪জন নেতা কর্মী নিহত হন।
এসব নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মদদদাতাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীতাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় না আনা গেলে দেশে ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কারা নির্যাতিত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবর সহ কারা নির্যাতিত একজন ছাত্র, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো: এনামউজ্জামান।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহণ করে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কালো ব্যাজ ধারণ এবং আলোচনা সভা।