চা বাগানের শ্রমিকদের হাতে মার খেয়ে ৭৩ বছর বয়সী একজন চিকিৎসক মারা গেছেন। ভারতের আসামের জোড়হাট জেলায় শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোমরা মাঝি নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চা বাগানের চিকিৎসক দেবেন দওকে শ্রমিকরা ব্যাপক মারধর করে।
এনডিটিভি জানায়, সোমরাকে হাসপাতালে ভর্তির পর হাসপাতালে চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকার কারণে এবং অস্থায়ী ওই শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য দেবেন দওকে দোষারোপ করা হয়েছে। কারণ তিনি চা বাগানের একজন আবাসিক চিকিৎসক ছিলেন।
জোড়াহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে চিকিৎসককে মারধর করার একটি ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে প্রকাশ হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার দুপুরে শ্রমিক সোমরা মাঝিকে তার আত্নীয় স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে যান।
তবে সেই সময় ডা. দেবেন দত্ত হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না এবং ফার্মাসিস্টও ছুটিতে ছিলেন। কর্তব্যরত নার্স স্যালাইনের ব্যবস্থা করলেও ওই শ্রমিক মারা যান বলে জানান সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের কতৃপক্ষ।
তারা বলেন, দেবেন দত্ত তিনটার দিকে এলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাকে মারধর করে এবং হাসপাতালের একটি কক্ষে প্রবীণ চিকিৎসককে আটকে রেখে দেয়।
ডাঃ দেবেন দত্ত অনেক আগেই অবসর নিয়েছিলেন এবং ওই চা বাগানে এক্সটেনশনে কাজ করছিলেন।
জোড়হাটের প্রবীণ চিকিৎসক হিসেবেই মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।