‘শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ’কে উস্কে দেয়, এমন পোস্টগুলোকে এখন থেকে মুছে ফেলবে ফেসবুক। বিশ্বব্যাপী বিচ্ছিন্নতাবাদ ও শ্বেত জাতীয়তাবাদের ভয়ংকর বিকাশ প্রতিহত করতে ফেসবুক এ উদ্যোগ নিচ্ছে।
বুধবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী সপ্তাহ থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ সংক্রান্ত পোস্টগুলো আটকে দেবে তারা।
এছাড়া ফেসবুকের মাধ্যমে যেন সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে না পারে, সে ব্যাপারেও আরো কঠোর হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় কিংবা এমন কার্যক্রমে উস্কানি দেয়, এ ধরণের ফেসবুক পেজ ও গ্রুপগুলো মুছে ফেলা হবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো ব্যবহারকারী ফেসবুকের সার্চ অপশনে শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদের সঙ্গে সম্পর্কিত কনটেন্টের খোঁজ করলে তাকে ‘লাইফ অফটার হেট’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে, যারা ডান-চরমপন্থার বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কাজ করছে।
এছাড়া নতুন করে কোনো লেখা ও ছবির মাধ্যমে যেন সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেবে ফেসবুক।
মূলত নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ফেসবুক।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার ভিডিও সরাসরি সম্প্রচার করার কারণে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।
ক্রাইস্টচার্চের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন নিহত হয় এবং আহত হয় আরো অনেকেই। ঐ ঘটনা ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল।
ফেসবুক জানায়, ট্যারেন্ট যখন লাইভ চালু করে মসজিদে হামলা করে তখন ২০০ জনের মতো মানুষ লাইভ দেখে। এটা ফেসবুক থেকে মুছে ফেলতে ফেলতে ৪ হাজার বার দেখা হয়ে যায়। লাইভ ভিডিওটি ১২ মিনিট চলা অবস্থায় প্রথম ব্যক্তি রিপোর্ট করে। তবে রিপোর্ট করার আগে ব্যক্তি তার নিজের ওয়ালে ভিডিওটি শেয়ার করে।
ক্রাইস্টচার্চের হামলার শেয়ার করা ১৫ লাখ ভিডিও প্রত্যাহার এবং ১২ লাখ ভিডিও ব্লক করার কথা জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।