লর্ডসের বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরে যাওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা যে যার মতো করে নিজেদের কষ্টের কথাগুলো প্রকাশ করেছিলেন। চুপ করে ছিলেন কেবল রস টেলর। অবশেষে ক্রিকইনফোর কাছে মুখ খুলেছেন কিউই সাবেক অধিনায়ক। বিশ্বকাপ হতাশার কথা বলতে গিয়ে সামনে এনেছেন দীর্ঘশ্বাসে মোড়ানো এক হতাশার গল্পই।
শ্রীলঙ্কার কাছে গল টেস্টে হেরে এখন কলম্বোতে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে ব্যস্ত নিউজিল্যান্ড। এই হারে উইলিয়ামসনরা এখন যেমনটা কষ্টে আছেন, সাত বছর আগে তার চেয়েও বেশি বুক ভরা বেদনায় ভারাক্রান্ত ছিলেন টেলর। কারণ, ২০১২ সালে এই গল থেকেই কেড়ে নেয়া হয়েছিল তার অধিনায়কত্ব।
অধিনায়কত্ব যে কেড়ে নেয়া হচ্ছে সেটা নাকি বুঝতে পেরেছিলেন টেলর। তারপরও পাহাড়সম বোঝা মাথায় নিয়ে খেলেছিলেন ১৪০ ও ৭০ রানের দুই ইনিংস। জিতিয়েছিলেন ম্যাচও। এরপরও তাকে আর নেতৃত্বে রাখেনি নিউজিল্যান্ড।
কষ্টে দুই সপ্তাহ ঘুমাতেই ভুলে গিয়েছিলেন টেলর। যে দুঃখের সঙ্গে সাত বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালের হারেরই কেবল তুলনা চলে বলছেন, ‘প্রায় না ঘুমিয়ে দুটো সপ্তাহ পার হয়েছে আমার। সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টার মতো ঘুমাতে পারতাম। সেই অবস্থাতেও আমি ১৪০ ও ৭০ রানের ইনিংস খেলেছি। মজার বিষয় হচ্ছে, অধিনায়কত্ব চলে যাওয়ার পর কেমন যেন হাল্কা হাল্কা লাগছিল। কোন কোন সময় পরিস্থিতি আপনার আওতার বাইরে চলে যাবে। তখন সেটাই হয়েছে।’
‘যখন লর্ডসে আমরা হারলাম, তখন মনে গলের সঙ্গে সেই ম্যাচটার কোনো পার্থক্য ছিল না। জীবনে উত্থান-পতন থাকবেই। লর্ডসে যেটা হয়েছে ক্রিকেটে এমনটা থাকবেই।’
টেলর মুখ খুলেছেন তার জটিল কিছু চোট বিষয়েও। জানিয়েছেন, চোখের এক প্রদাহে হারিয়ে যেতে বসেছিল দৃষ্টিশক্তিই। এমনকি ক্রিকেট মাঠে নাকি বলও ঠিকমত দেখতে পেতেন না সেসময়, ‘আমার চোখের অস্ত্রোপচারের দুই সপ্তাহ পর ট্রেইনারের সঙ্গে অনুশীলনের সময় প্রথম পরিষ্কারভাবে বল দেখলাম। ক্যারিয়ারের শুরুর অনেক পর মনে হল আমার যেন নতুন করে শুরু হল!’