শেরপুর ও যশোরে পুলিশের সাথে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জন নিহত হয়েছে। এ দুই ঘটনায় পুলিশের ৬ সদস্য আহত হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে মাদক ও অস্ত্র।
শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের ধোপাঘাট এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি এ সময় জেলা গোয়েন্দা শাখার এএসআই আরিফুল হকসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যদের শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত যুবকের লাশ জেলা হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
জেলা পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বন্দুকযুদ্ধের সত্যতা নিশ্চিত করলেও এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে নিহতের পরিচয় কিংবা আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে যশোরের রাজগঞ্জ সড়কে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শিশির ঘোষ নামে একজন নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি নিহত শিশির শীর্ষ সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়: মঙ্গলবার রাতে যশোর শহরের সরকারি মুরগি ফার্ম এলাকা থেকে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী শিশির ঘোষকে বোমাসহ আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে বের হয়।
সেসময় পুলিশ যশোর রাজগঞ্জ সড়কের ভাতুড়িয়ার কাবুলের ইটভাটা এলাকায় পৌঁছলে শিশির ঘোষের বাহিনী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
ঘটনাস্থলে শিশির ঘোষ নিহত হয়। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
কোতয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান: নিহত শিশির ঘোষের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজীসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। সে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।