শরীয়তপুরে স্কুল পড়ুয়া একটি ছেলে ও মেয়েকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। পালিয়ে বিয়ে করতে যাওয়ার অভিযোগে জনসমক্ষে সেই নির্যাতনের ঘটনা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েও দেয়া হয়।
বিয়ে করার উদ্দেশে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্কুল-পড়ুয়া দু’জনকে ধরে আনেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার কামাল মল্লিক। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত মল্লিকের বাড়িতে সারারাত শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় তাদের। পরদিন স্থানীয় সালিশে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
তার ভিডিওচিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত মল্লিক বলেন, অমানবিক কোনো নির্যাতন আমি করিনি। এর মধ্যে আমি জড়িত না। অভিযোগ আসতেই পারে। তদন্ত করে দোষীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
শরীয়তপুরের জাজিরা থানার উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার জানান,‘পুলিশ সরেজমিনে তদন্ত করেছে। নির্যাতনের ঘটনাটি সত্য। এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
লিয়াকত মল্লিক ও স্থানীয় স্কুলের দপ্তরি বাদল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।