আজ মাশরাফি বিন মর্তুজার ৩২তম জন্মদিন। এই জন্মদিনটা একটু অন্য রকমই কাটবে ম্যাশের । কারণ গত বছর এ দিনে বাবা হয়েছেন, জন্ম হয়েছে জুনিয়র মাশরাফির। তাই অন্য জন্মদিনের চেয়ে এবারের জন্মদিনটি আলাদা তার জন্য।
নড়াইলে ১৯৮৩ সালের আজকের দিনে জন্মেছিলেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি বিন মুর্তুজা। ছোটবেলায় তার ডাকনাম ছিল কৌশিক। ছোটবেলাটা কেটেছে দস্যিপনায়, স্কুল পালিয়ে চিত্রা নদীতে সাঁতরে, ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন খেলে।
কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পাওয়ার পরই তার ভাগ্যর চাকা খুলে যায়। কোনো প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ না খেলেই টেস্টে অভিষেক হয়েছিলো ম্যাসের। অভিষেকের পর ভাল পারর্ফমের জন্য পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’কে।
ক্যারিয়ারের শুরুতে শুধু বোলার হিসেবে পরিচয়টা সীমাবদ্ধ থাকলেও যতই দিন গেছে ততই শানিত হয়েছে তার ব্যাটিং। তাই বর্তমানে তাকে অলরাউন্ডার বললে ভুল হবে না। সে কারনেই তার রানের খাতায় ১৫৭ ওয়ানডের ১১৭ ইনিংসে ২১বার অপরাজিত থেকে ১,৩৯৯ রান। যার সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫১ রান। সমান সংখ্যক ম্যাচে সমান সংখ্যক ইনিংসে উইকেট পেয়েছেন ঠিক ২০০টি। যার সেরা ২৬ রানে ৬ উইকেট।
৩৬ টেস্টে ৭৮ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি তিন ফিফটিসহ ৭৯৭ রানও করেছেন তার।
২০০১ সালের ৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ মাশরাফির। অভিষেকেই তার জাত চিনিয়ে দেন ১০৬ রানে ৪টি উইকেট নিয়ে। গ্রান্ট ফ্লাওয়ার তার প্রথম শিকার। একই বছরের ২৩ নভেম্বর ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফির অভিষেক হয়। অভিষেক ম্যাচে মোহাম্মদ শরীফের সঙ্গে বোলিং ওপেন করে তিনি ৮ ওভার ২ বলে ২৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিজের করে নেন।
এরপর খুব বেশিদিন ক্রিকেটের সাথে থাকতে পারেননি ম্যাশ। তৃতীয় টেস্ট খেলার সময় হাঁটুতে আঘাত পেয়ে প্রায় দুই বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হয়। ইনজুরি সঙ্গে না খেলতে হলে তার ক্যারিয়ারটা অন্যরকম হতে পারতো।
২০০৬ সালের ক্রিকেট পঞ্জিকাবর্ষে তিনি ৪৯টি উইকেট নিয়ে এক দিনের আন্তর্জাতিক খেলায় বিশ্বের সর্বাধিক উইকেট শিকারী ছিলেন।
আজ আমাদের প্রিয় ম্যাশের জন্মদিন। শুভ জন্মদিন মাশরাফি।