ইতালিয়ান নাগরিক টাভেলা সিজার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে সিজারকে সরাসরি গুলি করার দায়ে অভিযুক্ত তামজিদ রুবেল ওরফে শুটার রুবেল। অন্য তিনজনকে আটদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তাদেরকে আদালতে হাজির করার পর রুবেল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সিজারকে কিভাবে হত্যা করা হয় তার বর্ণনাসহ কারা তাদেরকে বিদেশী নাগরিক হত্যার জন্য ভাড়া করেছিলো আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তার বিস্তারিত তুলে ধরে রুবেল।
নাম প্রকাশ না করে তদন্তকারী এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কথিত যে ‘বড়ভাই’র নির্দেশে হত্যাকাণ্ড, রুবেল অাদালতকে তার পরিচয়ের বিষয়ে বিস্তারিত বলেছে।
রুবেল জানায়, টাভেলা সিজার তাদের সুনির্দিষ্ট টার্গেট না হলেও চুক্তি অনুযায়ী একজন বিদেশীকে হত্যার অংশ হিসেবে তারা সময়-সুযোগমতো সিজারকে হত্যা করে। তারা সিজারের পরিচয় না জানলেও শরীরের রং এবং দৈহিক গঠন দেখে তাকে বিদেশী হিসেবে সনাক্ত করেছিলো।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, ওই হত্যাকাণ্ডে রুবেলের সঙ্গী ছিলো ‘ভাগ্নে’ রাসেল এবং ‘চাকতি’ রাসেল।
তবে প্রাথমিকভাবে তারা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করায় তাদেরকে রিমান্ডে নেয়ার প্রার্থনা জানায় ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক দু’জনের জন্যই আটদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একইভাবে গ্রেফতার সাখাওয়াত শরিফকেও আটদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার হওয়া মোটর বাইকটির মালিক শরিফ। সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটক করার পর মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করতে গিয়ে ডিবি সদস্যরা এর মালিক শরিফকে গ্রেফতার করেন।