শিষ্যদের সঙ্গে সম্পর্কটা ইদানীং খুব একটা ভালো যাচ্ছে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ হোসে মরিনহোর। মার্টিন কিয়োনের চোখে এই অবনতিটা অনেকটা যুদ্ধ শুরুর মতো। আর্সেনালের সাবেক ডিফেন্ডার বলছেন, সমালোচকদের সমালোচনা কখনো কখনো কানে নেয়া উচিত স্পেশাল ওয়ানের!
কিয়োনের বলার অবশ্য কারণও আছে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় সারির দল ডার্বি কাউন্টির কাছে হেরে কারাবাউ কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে মরিনহোর ম্যানইউ। সাবেক শিষ্য ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দলের কাছে নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র হওয়ার পর পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৮-৭ ব্যবধানে হেরে বসেছে রেড ডেভিলরা। কিন্তু সেই ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় শিষ্য পল পগবার সঙ্গে মরিনহোর দ্বন্দ্ব।
ম্যাচের আগে মরিনহো নিজেই জানিয়েছেন, দলের সহ-অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে পগবাকে। আর কোনদিন ম্যানইউর অধিনায়কও হতে পারবেন না ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার; সংবাদ মাধ্যমকে এমনই জানিয়ে দিয়েছেন রেড ডেভিল কোচ। ডার্বি কাউন্টির ম্যাচে ডাগআউটেও বসিয়ে রেখেছিলেন পগবাকে।
শিষ্যের সঙ্গে কোচের এমন দ্বন্দ্বতে দলের সর্বনাশ দেখছেন কিয়োন। বিবিসির সঙ্গে আলাপে মরিনহোকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, মাঝে মাঝে শিষ্যদের ভালো গুনটাও নজরে রাখতে।
‘তার উচিত খেলোয়াড়দের ভালো দিকটাও নজরে রাখা। মরিনহো সবসময় বলেন যে, সমালোচকরা তাদের সোফায় বসে আরাম করে সমালোচনা করতে পারেন। সেই সমালোচকদের একজন ল্যাম্পার্ড কিন্তু তাকে ঠিকই ভুল প্রমাণ করে ছেড়েছেন।’
‘দেখে তো মনে হচ্ছে হোসে তার শিষ্যদের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধিয়ে বসে আছেন। এই ইউনাইটেড দলটা বেশ ভালো। অথচ তারাই কিনা ইতিহাসের অন্যতম সেরা অঘটনের শিকার। কিন্তু মনে হচ্ছে মরিনহো ড্রেসিংরুম পর্যন্ত গিয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে আসেন।’ যোগ করেন কিয়োন।