শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে চ্যানেল আই অনলাইনে ‘ঘরে খাবার নেই, পরিবার নিয়ে উপোষ থাকছেন শিল্পী আকবর’-এমন সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সংগঠনের পক্ষে শিল্পী আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এদিন রাতে চ্যানেল আই অনলাইনকে এমনটাই জানান শিল্পী আকবর।
এরমধ্যে ইফতারের পর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেতা জায়েদ খান এই শিল্পীর মিরপুরের ভাড়া বাসায় গিয়ে হাজির হন বলে জানিয়েছেন আকবর। এসময় আকবর ও তার পরিবারের জন্য জায়েদ সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট।
শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নয়, এর সাথে নগদ অর্থও আকবরের হাতে তুলে দেন জায়েদ খান। সেইসঙ্গে অসুস্থ আকবরের চিকিৎসার দায়িত্বও নেন তিনি।
শনিবার রাতে কণ্ঠশিল্পী আকবর বলেন, জায়েদ ভাই যেভাবে সাহায্য করেছেন তাতে প্রায় একমাস আমাদের সংসার ভালো চলে যাবে। খাবার দেয়ার পর তিনি ১০ হাজার টাকা এবং আমার চিকিৎসার জন্য সব ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। বিপদে এভাবে পাশে দাঁড়ানোয় তার অবদান কখনো ভুলবো না।
চলচ্চিত্রের মানুষ জায়েদ খান। তিনি শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। করোনায় তিনি শিল্পী সমিতির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের অসচ্ছল শিল্পীর বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পাঠাচ্ছেন। অন্যদিকে, আকবর হলেন গানের মানুষ।
তার বিপদে পাশে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে জায়েদ খান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, চ্যানেল আই অনলাইনে আকবরকে নিয়ে প্রতিবেদন দেখা মাত্রই আমার ভীষণ মন খারাপ হয়।মানবিক দিক বিবেচনায় এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার মধ্যেও ইফতারের পরেই চলে যাই তার বাসায়। আকবর শিল্পী সমিতির ভোটার নয়। তাই ভোটের কথা চিন্তা না করে শিল্পী হিসেবে আরেকজন শিল্পীর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি মাত্র। শুধু তাই নয়, আগামীতে তার যা যা প্রয়োজন সবকিছুই আমি করবো। পাশাপাশি শরীরের কিছু অংশের ছবি তুলেছি। ডাক্তারের সাথে আলাপ করে চিকিৎসায় জন্য সব ব্যবস্থা করবো।
জায়েদ খান জানান, আকবরের জন্য যা যা করছেন সবকিছুই তিনি তার একেবারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে করছেন। যেহেতু আকবর সমিতির সদস্য নয় তাই এর সাথে শিল্পী সমিতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এদিকে আকবর জানান, চ্যানেল আই অনলাইনে তার কষ্টের দিনযাপন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর জায়েদ খানের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন এগিয়ে আসার জন্য যোগাযোগ করেছেন। এছাড়া পরিচয় গোপন থেকে একাধিক জন তাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অর্থ পাঠিয়ে সাহায্য পাঠাচ্ছেন। এজন্য তিনি ওইসব মানুষ ও চ্যানেল আই অনলাইনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।