‘শুধুই সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে না,’ এমন মন্তব্য করে নির্বাচনের বাইরে অন্য বিষয়ে নীরব থাকার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর ‘মূল কর্তাব্যক্তি‘র সমালোচনা করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ফেসবুক পোস্টে ব্যক্তিগত মত হিসেবে ওই ‘কর্তাব্যক্তি’ কীভাবে বছরের পর বছর সংগঠনটির প্রধান পদ ধরে রেখেছেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন তরুণ এ রাজনীতিক।
এ বিষয়ে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও তবে সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেছেন: সুজন এর পদ কেউ দখল করে রাখেনি। দুই বছর পরপর নির্বাচনের মাধ্যমে এখানে পদধারীরা আসেন।
‘সুশাসনের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ,’ বলেও মন্তব্য করেন এম হাফিজউদ্দিন খান।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন: ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এই এনজিওর মুল কর্তাব্যক্তি সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সুশাসন নিশ্চিতে কোনো কিছুই বলার জন্য খুঁজে পান কিনা জানিনা তবে সরকার পরিবর্তনের জন্য যাবতীয় দাবী তার সকল অমৃত বচনে পাওয়া যায়।
‘শুধুই সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে না। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, নিজস্ব পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করা এসবই কিন্তু সুশাসনের পূর্বশর্ত এবং নির্বাচনের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ! এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা শোনা যায় না, শুধুই উনি আছেন নির্বাচন ঘিরে,’ বলে মন্তব্য করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
উপমন্ত্রীর দাবি নাকচ করে দিয়ে সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন: সুশাসনের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন হলো ফান্ডামেন্টাল বিষয়। এজন্য সুষ্ঠু নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে কারা? নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সুশাসন কায়েম করবেন। কিন্তু সেখানেই যদি গলদ থাকে তাহলে সুশাসন আসবে কোত্থেকে? এজন্যই আমরা সবসময় সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে আসছি।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ফেসবুক পোস্টে বলেন: ’সুজন-এ উনি বছরের পর বছর কিভাবে প্রধান পদ দখল করে রেখেছেন সেটাও জানতে চাই। স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনায় বছরের পর বছর কিভাবে কেউ ধরে রাখে? আর রাখলে সুশাসন নিজের জায়গায় কিভাবে বাস্তবায়ন হলো?’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুজন সভাপতি বলেন: এখানে পদ দখল করে রাখার কোনো সুযোগ নেই। দুই বছর পরপর সুজন-এ নির্বাচন হয়। তাহলে এখানে পদ দখল করে রাখা হলো কীভাবে? আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলায় ওনারা সবসময় আক্রমণাত্মক কথাবার্তা বলেছেন। এখনও বলছেন।