বাজেটের আকার বাড়লেও শিক্ষায় বরাদ্দ কমেছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষায় বরাদ্দ কমিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই শিক্ষাখাতের বরাদ্দ পুর্নবিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
একই সঙ্গে ২০১৮ সালের মধ্যে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা চালুর পরিকল্পনাও হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।
গত পাঁচ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় ২০১৩-১৪ অর্থ বছর ছাড়া প্রতিবারই মোট বাজেটের অনুপাত শিক্ষায় বরাদ্দ আগের বছরের তুলনায় কমেছে। ২০১১-১২ অর্থ বছরে মোট জাতীয় বাজেটের ১২ দশমিক ১১ শতাংশ বরাদ্দ ছিল শিক্ষায়। গত বছর বরাদ্দ ছিল ১১.০৭ শতাংশ। আর এবার বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১১.০৭ শতাংশ। যা জাতীয় আয়ের ১.৮৪ শতাংশ।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশও শিক্ষায় এর চেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখে। ডক্টর এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, যতটুকু দেখেছি তাতে পুরো বাজেটাই খুব ভালো বাজেট। কিন্তু শিক্ষার ক্ষেত্রে এসে শুভঙ্করের ফাঁকি থেকে গেছে। উন্নয়ন, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রণয়ন-এসব ঠিক করতে যতোই কষ্ট হোক শিক্ষায় বিনিয়োগ করতেই হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে চাইলে, অন্যান্য খাতে মিনিমাম চাহিদা পূরণ করে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, “আমরা হতাশ হয়েছি। কারণ বিশ্বের সব দেশে যখন শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানো হচ্ছে বা পরিকল্পনা করা হচ্ছে সেখানে আমাদের কমে যাচ্ছে।”
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নিজেই মাধ্যমিক শিক্ষার হতাশজনক চিত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রাথমিক স্তরে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের কথা বলতেও তিনি ভোলেননি। এমন পরিস্থিতিতে বিশাল শিক্ষা সেক্টরে এমন বরাদ্দ পুনর্বিবেচনার কথা বলেছেন শিক্ষাবিদরা।