শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
মানববন্ধনে শিক্ষক লাঞ্ছনায়
নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের পাশাপাশি তার সংসদ সদস্যের পদ বাতিলেরও দাবি করেন শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত একযোগে দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
কর্মসূচির শুরু থেকেই শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করা হয়। একই সঙ্গে সেলিম ওসমানের সাংসদ পদ বাতিলের দাবিও আসতে থাকে ওই প্রতিবাদ কর্মসূচির মানববন্ধন থেকে।
শুধু শিক্ষক ফেডারেশনের কর্মসূচি হলেও সকাল থেকেই প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষকদের সঙ্গে কর্মসূচিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।
কর্মসূচি চলাকালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে বরখাস্ত করা স্কুল পরিচালনা কমিটিকেই বাতিল ঘোষণা করেন।
স্কুল কমিটি বাতিলের পাশাপাশি তাদের দেয়া বরখাস্তের আদেশও বাতিল করে প্রধান শিক্ষককে স্বপদে বহালের কথাও জানান মন্ত্রী।
এ সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সরকার ও শিক্ষামন্ত্রীকে সাধুবাদ জানানো হয়।
‘ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তির’ অভিযোগে গত ১৩ মে শ্যামল কান্তি
ভক্তকে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে কান ধরে ওঠবস করান। এর আগে ওই
শিক্ষককে মারধোরও করা হয়।
প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ করেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।