বাংলাদেশের বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান কুমিল্লার ময়নামতি শালবন বিহারের প্রত্ন নিদর্শনগুলোতে নামফলক বা পরিচিতি না থাকায় বিস্তারিত তথ্য না জানতে পারার আক্ষেপ করেছেন পর্যটকরা। ১২শ’ বছর আগের এ বিহারের শুধু সৌন্দর্য্য দেখেই তৃপ্ত থাকতে হচ্ছে তাদের।
খৃষ্টীয় অষ্টম শতকে দেব বংশের চতুর্থ রাজা শ্রী ভবদেব ঐতিহাসিক এই নিদর্শনটি নির্মাণ করেন। এক সময় সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ছিলো শালবন রাজার বাড়ি নামে। খননের পর ১শ’১৫টি ভিক্ষুকক্ষবিশিষ্ট বড় একটি বৌদ্ধ বিহারের ভূমি নকশা উন্মোচিত হওয়ায় এর নামকরণ হয় শালবন বিহার। বিহারটিতে ৪টি এবং কেন্দ্রীয় মন্দিরে ৬টি নির্মাণ যুগের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ স্থানের প্রত্যেকটি অংশের প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য থাকলেও এগুলোর আলাদা বিবরণ না থাকায় হতাশ পর্যটকরা।
সেখানে এক দর্শনার্থী বলেন, যতি প্রতিটি অংশের ইতিহাসসহ একটি বর্ণনা থাকতো তাহলে দর্শনার্থীরা অনেক বিষয়ে জানতে পারতো।
তবে বিহারটির পরিপূর্ণ ইতিহাস লেখা এখনও সম্পন্ন হয়নি বলে জানালেন কাস্টোডিয়ান আহমেদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, তাদের খনন কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় ইতিহাস বা স্তম্ভগুলোর বর্ননা দেয়া হয়নি।
বিহারটির চারপাশের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত থাকেন অনেক পর্যটক। তাদের বক্তব্য পুরো বিহারে একমাত্র গেট ছাড়া আর কোথাও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। তবে সম্প্রতি বিহারটির চারপাশের সীমানা দেয়াল উঁচু করেছে কর্তৃপক্ষ।