উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে অনড় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন কর্মসূচি বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনে পড়েছে । আমরণ অনশনে থাকা অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। গত রাত পর্যন্ত ৪ জনকে হাসপাতালে ও ১০ জনকে অনশনস্থলে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে গত ৩ দিন ধরে ভিসির বাসভবনের সামনে অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আমরণ অনশন ভাঙাতে দফায় দফায় শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার চেষ্টা করেন। শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ না করলে কারও সাথে আলোচনায় বসতে রাজী হয়নি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ।
সমস্যা সমাধানের জন্য শাবিপ্রবি’র বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক আসেন অনশনকারী শিক্ষার্থীদের বোঝাতে। তবে নিজেদের দাবি আদায়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ওই হলের কয়েক’শ ছাত্রী।
সেই আন্দোলনের এক পর্যায়ে জাফরিন আহমেদ পদত্যাগ করেন। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। নতুন দাবি যুক্ত করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
গত ১৬ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে আইসিটি ভবন থেকে উপাচার্যকে উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে ওই ঘটনার পর অজ্ঞাত কয়েক’শ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। সেই মামলা প্রত্যাহার এবং উপাচার্যের পদত্যাগের নতুন দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা।