জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন থেকে র্যাবকে বাদ দিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি জানালেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশে র্যাব অত্যন্ত পারদর্শিতা ও সততার সাথে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ২১ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল এসব কথা জানান।
অন্য আরেকটি অনুষ্ঠানে লবিস্ট নিয়োগ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের ক্ষতির জন্য, আর আওয়ামী লীগ করে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে র্যাবকে বাদ দিতে অ্যামনেস্টি ইন্টান্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ ১২ মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের কাছে চিঠি দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে গণমাধ্যমকে বলেছেন, মানবাধিকার সংগঠনগুলো চিঠির কারণে শান্তিরক্ষী মিশনে এর কোনো প্রভাব না। কেননা বাংলাদেশে র্যাব অত্যন্ত পারদর্শিতা ও সততার সাথে কাজ করছে। এ জন্য র্যাব সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে বরাতে জানিয়েছেন, সংস্থাটি সব সময় যাচাই-বাছাই করে নেন। এরফলে খুব বড় রকমের প্রভাব পড়বে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পরে সুইজারল্যান্ডের লুসানের ফটো এলিসি জাদুঘরের সহযোগিতায় সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, আইসিআরসি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজিত ‘মানবিক নীতি: এখানে এবং এখন’ প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে নয় বরং ধ্বংস করতেই বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যেতে আগামীতে সারাবিশ্বের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ সম্পর্কে সেমিনার করা হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।