ওভার প্রতি ছয়েরও বেশি হারে রান তুলছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ম্যাচে নিঃসন্দেহে ইতিবাচক দিক। কিন্তু খেলাটা ৪৫ ওভারে হওয়ায় রান রেটের চিন্তা করতেই হচ্ছে। লক্ষ্যটা যে ৩২০ রানের।
আগ্রাসী হতে গিয়ে সাকিব আল হাসান ফিরে গেছেন সাজঘরে। ২৭ বলে করেন ২৬ রান। নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ফিফটি বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রেখেছে। তাওহিদ হৃদয়ও করছেন ভালো ব্যাটিং।
চেমসফোর্ডে ২২ ওভারে ৩ উইকেটে সফরকারীদের সংগ্রহ ১৩৫ রান। ২৩ ওভারে করতে হবে আরও ১৮৫। জিততে হলে খেলতে হবে টি-টুয়েন্টি মেজাজে।
৪৫ ওভারে ৩২০ রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় সংগ্রহ পঞ্চাশ পেরোনোর আগেই সাজঘরে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ১৩ বলে ৭ রান করে শুরুতেই ফেরেন তামিম। ফ্লিক করতে শর্ট মিডউইকেটে ধরা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলীয় সংগ্রহ তখন মোটে ৯।
লিটন ঝড়ো ইনিংসের আভাস দিয়ে ফেরেন ২১ রান করে। দলের রান তখন ৪০। লিটনের ২১ বলের ইনিংসে মারেন দুটি চার ও একটি বিশাল ছক্কা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ড হাসান মাহমুদের পেস তোপে রীতিমতো কাঁপছিল শুরুতে। দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন দ্রুতই। ১৬ রানে ২ উইকেট হারানো দল অবশ্য ৪৫ ওভারের ম্যাচে ছাড়িয়ে গেছে তিনশ। হ্যারি টেক্টরের ১৪০ রানের ইনিংস আর জর্জ ডকরেলের ৭৪ রানের ক্যামিও স্বাগতিকদের নিয়ে গেছে রানের চূড়ায়।
চেমসফোর্ডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান তুলেছে আয়ারল্যান্ড। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ আইরিশদের।
বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে। ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরি পান টেক্টর। ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসটি খেলে মাত্র ১১৩ বলে। মারেন দশটি ছয়, ৭টি চার।
ডকরেল ৪৭ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। মার্ক অ্যাডায়ার ৮ বলে ২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ আরও বড় করেন। শেষ ৯.১ ওভারে ১১৯ রান তোলে আয়ারল্যান্ড।