চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘শাকিবের ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম, আসলো জায়েদের ফোন’

মুখোমুখি মালেক আফসারী:

এফডিসি ঘরানার অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক মালেক আফসারী। পুরো ক্যারিয়ারে দুই ডজন চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার নির্মাণের তালিকায় যেমন নাম আছে ‘এই ঘর এই সংসার’, তেমনি আছে ‘বোমা হামলা’  কিংবা ‘উল্টা পাল্টা’র মতো সিনেমা। গত তিন বছরের মধ্যে ‘অন্তর জ্বালা’ ও ‘পাসওয়ার্ড’ ছবি নির্মাণ করে বেশ আলোচনা, সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। ‘ছবি হিট না হলে সিনেমা ছেড়ে দেব’-এমন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ‘ঠেকাও মাস্তান’-এর এই পরিচালক। সম্প্রতি নিজের ২৫ নম্বর চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। আর এই ছবির প্রসঙ্গ ধরেই চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন তিনি:

করোনা আতঙ্কের এই সময়ে টেনশনে আছেন?
করোনা পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে, সেগুলো নিয়ে তো একটু টেনশন আছেই। তার চেয়ে বড় টেনশন আমাদের যে ঘনবসতি, এরকম এলাকার জন্য তো করোনার মতো ভাইরাস আরো বড় হুমকি। এই কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করে মনে হয়েছে, করোনা ভাইরাস মানবজাতির জন্য এটম বোমের চেয়েও আরো বড় হুমকি! করোনায় আক্রান্ত এমন কাউকে যদি আকাশ পথে বা অন্য যেকোনো উপায়ে কোনো একটা দেশে ছেড়ে দেয়া হয়, সেটা কিন্তু এটম বোমার মতই সর্বনাশ বয়ে আনবে। এটাতো এক ধরনের টেনশন ই!

তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এই মুহূর্তে আমার কোন টেনশন নাই। জন্ম যেহেতু হয়েছে, মৃত্যু তো হবেই! এটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। অনেকদিন ধরে পৃথিবীতে বাস করছি, মন ভরে গেছে। এখন যদি মরেও যাই, আফসোস থাকবে না।

আপনি আবার নতুন ছবি শুরু করছেন?
হ্যাঁ, নিজের ২৫ নম্বর ছবি শুরু করছি। এটার নাম দিলাম ‘টেনশন’। গল্পের সাথে নামটা যায়, এই ভেবে এই ছবির নামকরণ করা হয়েছে। ‘পাসওয়ার্ড’-এর পর টেনশন নামটা আমার পছন্দ হয়েছে।

কী ধরনের টেনশন আপনি দর্শককে দেখাতে চান?
এটা পাসওয়ার্ড এর চেয়ে আপডেট একটা ছবি হবে। পাসওয়ার্ড অবশ্যই আমার মডার্ন একটি ছবি। মানে মেকিং এর দিক দিয়ে। তো টেনশন ছবিটিও মেকিং-এর দিক থেকে আরো উন্নত করব। এরজন্য প্রযোজকের কাছে বেশ কিছু জিনিস চেয়েছি, তিনিও দিতে রাজি হয়েছেন। ক্যামেরার জন্য আমি কিছু লোক আনাবো দেশের বাইরে থাকে, সেটা ইন্ডিয়া থেকে হতে পারে বা থাইল্যান্ড থেকেও হতে পারে। তারা ক্যামেরায় আমাকে হেল্প করবেন। একা তো আর ছবি বানানো যায় না। যেমন শাকিব খান আমাকে সবকিছু যোগাড় করে দিয়েছিল, এর জন্য ‘পাসওয়ার্ড’-এর মতো একটি আধুনিক ছবি দিতে পেরেছি। ওই ছবিটি করতে আমি যা চেয়েছি এসকে (শাকিব খান) আমাকে সেগুলো যোগাড়যন্ত করে দিয়েছে। ক্যামেরা এবং টেকনোলজি রিলেটেড যত ধরনের ডিমান্ড করেছি সব ডিমান্ড ফুলফিল করেছে। একটি ভাল ইউনিট ছাড়া এখন ভালো ছবি নির্মাণ সম্ভব না।

টেনশনের প্রযোজক কে?
জায়েদ খান। তাকে আমি বলেছি, কিচ্ছু চাই না। সেটের দরকার নেই। আমি ন্যাচারাল লোকেশনে শুট করবো। আমি কোনো কিছু এফডিসির ভেতরে পিকচারাইস করবো না, একটি শট ও না। ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটি দেখেন, দেখবেন সব কিন্তু ন্যাচারাল লোকেশনে শুট করা।

হ্যাঁ, এফডিসির কমন লোকেশন দেখতে দেখতে দর্শকের তো মুখস্থ!
সেটাই, টাকা দিয়ে বারবার কেন লোকজন একই জিনিস দেখতে যাবে! নিজের ছবিও তো মানুষ বারবার দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে যায়। তো মানুষ কেন বারবার এফডিসি দেখবে, একই লোকেশন আর কতো!

আপনার যে ডিমান্ড, টেনশনের প্রযোজক কি সব পূরণ করতে পারবেন?
হ্যাঁ, চুক্তিপত্রের মধ্যে একেবারে লেখা এগুলো। আর আমার ছবির কোন বাজেটের লিমিটেশন নাই। আমার মেয়ের বিয়ে আমি দিবো, এখানে আবার বাজেট কি! বাজেট নিয়ে সিনেমা করতে যাওয়ার লোক আমি না। নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকে শুটিংয়ে। দেখা গেল, শুটিং চলাকালীন একদিন বৃষ্টি শুরু হল। তখন কী করবো? মোট বাজেট থেকে এরজন্য লাখ দুয়েক টাকা চলে যাবে! এখন বাজেট ঠিক রাখতে আমি কি প্রকৃতির সাথে লড়াই করব? বা আমি অসুস্থ হয়ে যেতে পারি, নায়ক-নায়িকা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের কেউ দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন! আর এসব কারণে বাজেট ফেল করতে পারে, তো আমি এসব বাজেটের ওয়াদা তে এজন্য যাই না। কারো সাথে যাই নি। এসকের (শাকিব খান) সাথে যাই নাই, অতীতে কারো সাথে বাজেটের ওয়াদা তে আমি যাই নাই যে ‘আমি এতো টাকার মধ্যে সিনেমা করে দিবো’-এটা আমি বলি না। প্রযোজককে আমি বলে দেই, যা খরচ করবেন আপনি খরচ করবেন। আপনার লোকজনই করবে!

গত ৬-৭ বছরের মধ্যে আপনি দুটো সিনেমা নির্মাণ করলেন। জায়েদ খানকে নিয়ে ‘অন্তর জ্বালা’, এরপর শাকিবকে নিয়ে ‘পাসওয়ার্ড’। আবার ফিরে গেলেন জায়েদের কাছে?
একটু থামুন…! আমিতো কোথাও ফিরে যাইনি, আমাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মানে জায়েদ খান আমাকে তার ছবি করার অফার দিয়েছে। আমি শুধু তার অফারটা নিলাম। আবার এসকের (শাকিব খান) কাছ থেকে সাইনিং মানি নেয়া ছিল অন্তত ৬ মাস আগে। আমি শাকিবের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, সে আমাকে কথা দিয়েছিল। প্রেস কনফারেন্স করল যে, তার প্রোডাকশন থেকে চারটি ছবি হবে। এরমধ্যে একটি ‘বীর’, একটি আমার ছবি, আরেকটি বদিউল ইসলাম খোকন করবে আর আরেকটি ছবির নাম ‘প্রিয়তমা’। আমাকে তখন বলা হয়েছিল অপেক্ষা করতে, ঈদের ছবিটি আমাকে দিয়ে করাবে। ‘বীর’-এর পরই আমার ছবিটি শুরু হওয়ার কথা। বীর মুক্তির পর আমি দেখলাম আমাকে আর কেউ ফোন দিচ্ছে না। ছয় মাস আগে সাইনিং মানি নিয়ে আমি তো এরপর থেকে ঘরেই বসা, শাকিবের ফোনের অপেক্ষায়। কিন্তু এই ফোনটি এখনো আর এলো না, এলো জায়েদ খানের ফোন!

তো জায়েদ খানকে নিয়ে আমি যখন ‘অন্তর জ্বালা’ সিনেমাটি করি, তার আগে থেকেই তার সাথে আমার পরিচয়। সে কিন্তু লোক ভালো। ভদ্র, সালাম দেয়। সালাম মানে কী, সে পায়ে ধরে সালাম দেয়! তার এই অনুগত আচরণ কিন্তু হিরো হওয়ার আগেই। তো আগে থেকেই জায়েদ ছেলেটাকে মানুষ হিসেবে ভালো লাগতো। সম্মান দিতে জানে। ওই হিসেবে তো তাকে লাইক করি, এরপর ‘অন্তর জ্বালা’ করলাম। আরো একটু চেনা হলো। সে যখন দ্বিতীয়বার আমার সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব নিয়ে এলো, সিনেমা বানানোর জন্য টাকা দিবে বলল তখন কি আমি তাকে না করে দিব? অবশ্যই না, আমার তো পেট আছে। আমার ও তো টাকার প্রয়োজন হয়। আমিতো কারো সাইনিং মানি নিয়ে বোকার মত ঘরে বসে থাকতে পারি না দিনের পর দিন, তাই না!

কিন্তু আপনি তো অপেক্ষা করছিলেন শাকিবের ফোনের জন্য?
তা করছিলাম, কিন্তু জায়েদের ফোন আসাতেও আমি মহা খুশি। নিজেকে আরো একবার পরীক্ষা করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে সে। ‘পাসওয়ার্ড’ যখন রিলিজ হল তখন দেখলাম অনেকে খবর। সবাই শিরোনাম করেছে ‘শাকিবের পাসওয়ার্ড’! শিরোনামে আমার নামটা ছিল না কোথাও, হয়তো ভিতরে একবার কেউ লিখেছে। আবার শাকিব খানের অন্য ছবিগুলি যখন রিলিজ হয়েছে, তখনো কিন্তু সেইম ঘটনাই ঘটেছে। কিন্তু ওই ছবিগুলি কিন্তু খুব একটা হিট হয়নি। তাহলে কী প্রমাণ হয়, ‘পাসওয়ার্ড’-এর কারিশমা ছিলো ডিরেক্টর। পরিচালক ই প্রধান ছিল! তাহলে হেডলাইনে আমার নামটা কেন এলো না? এখানে কিন্তু একটা পরীক্ষণের সুযোগ আছে। তো নিজেকে আরো একবার পরীক্ষা করার সুযোগ যেহেতু পেলাম, তাই কিছু না ভেবে রাজি হয়ে গেলাম জায়েদের অফারে। তাছাড়া প্রোডিউসার টাকা দিচ্ছে আনলিমিটেড, আমি কেন রাজি হব না!

এসকে ফিল্মস-এর কারো সাথে আপনার পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা ছিল?
এই ইন্ডাস্ট্রির কারো মোবাইল নাম্বার আমার ফোনে সেভ নাই, যোগাযোগের প্রশ্নই আসে না। শুধু কয়দিন আগে জায়েদ খানের নাম্বারটা সেভ করছি, আরেক জনের নাম্বার আছে, পরীমনি। সে আমাকে ভাইয়া ডাকে, ভালো লাগে। আর জায়েদ খান এর নাম্বারটা রেখেছি, যেহেতু তার সাথে সামনে আমার কাজ করতে হবে, এতগুলো টাকা দিয়ে ভরসা করছে। তাকে তৈরি করতে হবে।

কিন্তু এখন যদি আপনাকে এসকে ফিল্মস থেকে ছবি নির্মাণ করতে বলা হয়, আপনি তো সাইনিং মানি নিয়ে রেখেছেন?
জাহাজ বা প্লেন যখন ছাড়ার সময় হয়, তখন সেটা গন্তব্যে চলতে শুরু করে। তখন যে যাত্রী লেট করে, তার জন্য আবার সেটা কি ফিরে আসে? একবার ছেড়ে গেলে যেমন যাত্রীর জন্য বিমান ফিরে আসে না, তেমনি আমি সেই বিমানটার মতো। আকাশে আছি, আমার গন্তব্য ঠিক হয়ে আছে…।

আমি একজন পেশাদার ডিরেক্টর, খুবই সেন্সিবল। অতীতে বহু বাঘা বাঘা প্রোডিউসার নিয়ে কাজ করেছি। এরা কেউ আমার সেটে আসার দুঃসাহস দেখায় নাই, তাদের যোগাযোগ ছিল প্রোডাকশন ম্যানেজারের সাথে। প্রোডিউসারের সম্পর্ক থাকবে প্রোডাকশন ম্যানেজারের সাথে, ডিরেক্টরের সাথে তার কিসের সম্পর্ক! আমি এভাবেই শিরদাঁড়া খাড়া করে চলেছি, এখনও সেভাবেই চলছি। আগামীতেও এমনটাই হবে।

প্রযোজক পরীমনির ও তো একটি ছবি আপনার পরিচালনা করার কথা শোনা গিয়েছিলো?
রাইট, আমাকে সাইনিং মানি ও দেয়া হয়েছিল। ভাগ্যে জোটে নাই, ব্যাটে-বলে হয় নাই এই আর কি!

মুক্তির পর আপনার নির্মিত সিনেমাগুলো নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেখা যায়। নকলের অভিযোগ তো কমন এবং প্রমাণিত ও। দাম্ভিক ডিরেক্টরের ব্যক্তিত্বের সাথে এগুলো যায়?
শুনুন, আমি কোনো ধারার পরিচালক না। অ্যাওয়ার্ডের জন্য আমি ছবি বানাই না। আমার প্রথম কাজ হচ্ছে প্রডিউসারের লগ্নিকৃত টাকাটা সেভ করা, হল ওয়ালারা যে টাকা দিয়ে ছবিটা নেয় সেই টাকাটা কীভাবে তোলা যায় এবং দর্শকের হাততালি কীভাবে নেয়া যায়-সেগুলো মাথায় রেখে সিনেমা বানানো। বোদ্ধারা কী বলে তাতে আমার কিছুই যায় আসে না, আমি ওই ধরনের মেধাবী ডিরেক্টর ই না। গত বছর ৫৮টি ছবি রিলিজ হয়েছে, এরমধ্যে একটি ছবি নকল, বাকি ৫৭ টা তো মৌলিক ছিলো! তাহলে বন্ধ হল এর দরজা কে খুলতে পেরেছে? -পাসওয়ার্ড, যাকে আপনারা নকল ছবি বলছেন! বাংলাদেশে যদি কেউ নতুন গাড়ি বানাতে চান, তার সামনে তো আরেকটা গাড়ির নমুনা লাগবে! আমি এই নমুনা সামনে রেখেই কাজ করি। আমি ছবি নির্মাণ করে প্রোডিউসারের টাকা তাকে বুঝিয়ে দিতে চাই, একইসঙ্গে দর্শকের হাততালি ও চাই। হিটের বিকল্প সিনেমায় আর কিছু আছে বলে আমি বিশ্বাসই করতে চাই না। মৌলিক ছবির চেয়ে হিট ছবি বানানো জরুরি, অন্তত হল বাঁচাতে হলে। বছরের পর বছর ফ্লপ ছবি দিতে দিতে সব হলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

আপনি যখন শাকিবের-ছবি করেন, তখন তার প্রশংসা ছাড়া অন্য কিছু শোনা যায় না। আবার যখন জায়েদ খানের ছবি করেন, তখন তার প্রশংসা…?
আমি যখন যার কাজ করব তখন তো তার গুণ গান ই করতে হবে। আমার সততা ওই জায়গাতে। কারণ ওরা তো আমাকে টাকা দিচ্ছে রে ভাই, যার নুন খাই তার যদি গুণ না গাই তাহলে তো বেঈমানি হয়ে যাবে। আমি আমার স্বার্থ, পাবলিসিটি দেখব না!

টেনশন নিয়ে আর প্ল্যান কী, নায়িকা কে?
এই মুহূর্তে শুধু জায়েদ খান আর মিশা সওদাগর কে কাস্ট করেছি। আপাতত দুটো কাস্টিং কনফার্ম। এখন আমার একটা নায়িকা লাগবে, আর কিছু লাগবে না।

শুটিং কবে থেকে?
রোজার আগে থেকে এক সপ্তাহ শুটিং করে রাখবো। গাজীপুরের এক জঙ্গলে একটা বাড়ি আছে, আমার গল্পের ওই লোকেশন এর সাথে মিলে যায়। এখানে টানা এক সপ্তাহ কাজ করব, এবার ঈদের পর চলে যাব বান্দারবান গভীর জঙ্গলে। ওইখানে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে আমরা শুট করতে চেষ্টা করবো। যে লোকেশনে লোকজন ভয়ে যায় না এরকম লোকেশন খুঁজে বের করব।

টেনশন কার গল্পের ছবি?
এটা আমার স্বপ্নের গল্প। আবদুল্লাহ জহির বাবুকে নিয়ে কাজ করেছি। আর একটা ব্যক্তিগত আবেগের কথা বলতে গেলে, এটা কিন্তু আমি শাকিব খানকে নিয়ে করতে চেয়েছিলাম। আমার ২৫ নম্বর ছবির নায়ক হবে শাকিব খান, এমন স্বপ্নই ছিলো আমার। ‘পাসওয়ার্ড’-এর মত সুপারহিট ছবি দেয়ার পরও যেহেতু আমি সাইড লাইনে বসে ছিলাম, তাই এখন আর আমার সেই আবেগ নেই।