গবেষণা সংস্থা বিআইডিএস বলছে, কেবল কৃষি আয় দিয়ে শহরমুখী মানুষের স্রোত ঠেকানো সম্ভব নয়। গ্রাম থেকে শহরে আসা কিংবা এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়া ঠেকাতে সবচেয়ে কার্যকর উপায়, গ্রামে গ্রামে কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়ে ছোট ছোট শিল্প গড়ে তোলা। গ্রামে অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানোরও পরামর্শ দিয়েছে বিআইডিএস।
আমার গ্রাম আমার শহর- বর্তমান সরকারের জনপ্রিয় একটি স্লোগান। গ্রাম এবং শহরের ব্যবধান ঘুঁচিয়ে শহরের ওপর চাপ কমানোর কথা বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে। সরকারের এই উদ্যোগ কতোটা কার্যকর হলো? কেনইবা শহরে মানুষের ঢল থামানো যাচ্ছে না। ২০১৬ সালের খানা, আয় এবং ব্যয় জরীপের তথ্য বিশ্লেষণ করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন বিআইডএস এর একদল গবেষক।
গবেষক ডক্টর কাজী ইকবাল বলেছেন: ইউনিয়ন লেভেলে যদি আমাদের অকৃষি খাতে কর্মকাণ্ড বাড়ে তাহলে অকৃষিখাতে ইনকাম বেড়ে যায়। এমনটা হলে ওই অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে মাইগ্রেশনের প্রবণতা কমে যায়। অকৃষি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারলে মাইগ্রেশনের হারটা কমে আসবে।
উন্নত, সমৃদ্ধ দেশের কাতারে যেতে হলে শিল্পের অবদান বাড়াতেই হবে, এ নিয়ে তর্ক না থাকলেও, তা কি প্রাণ-প্রকৃতি জলাঞ্জলী দিয়ে? এই প্রশ্ন ওঠে।
বিআইডিএস’র পরামর্শক শাইখ সিরাজ বলছেন: শিল্প-কলকারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যে নিয়ম নীতিগুলোর কথা বলা আছে, সেগুলো তো কেউ মানে না। গ্রামের ভেতরে কারখানা গড়ে তোলা হলে সেটি আরও বড় ধরেনের বিপর্যয় হবে। অনেক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি জাপানে কৃষিতে স্মার্ট ফার্মিংয়ে বিনিয়োগ করেছে। সরকারসহ সকলের সে বিষয়টিতেই বেশি মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।
সীমিত সম্পদ, অসীম চাহিদা এই বাস্তবতা মেনে কৃষি এবং অকৃষি দুটোকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে, উপলদ্ধি বিআইডিএস মহাপরিচালক ডক্টর বিনায়ক সেনের।
পুকুরে মাছ চাষের মাধ্যমে গৃহস্থালির প্রাণীজ পুষ্টির চাহিদা পূরণ নিয়ে বিআইডিএস-এর পরবর্তী সেমিনার, ২০ অক্টোবর।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: