চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শততম টেস্টে সেঞ্চুরিতে রুটের অসাধারণ রেকর্ড

নিজের শততম টেস্টে একটু দ্রুতই ব্যাট হাতে নেমে পড়তে হয়েছিল জো রুটকে। জোড়া ধাক্কায় তখন দল কাঁপছে। ক্যারিয়ারের ঐতিহাসিক দিন, সঙ্গে দলের ব্যাটিংয়ে নাজুক অবস্থা। সেসব চাপকে পাত্তাই দেননি ইংলিশ অধিনায়ক। নেতার মতোই পথ দেখিয়েছেন দলকে। সঙ্গে গড়েছেন নতুন এক রেকর্ড।

ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টটি রুটের ক্যারিয়ারে শততম। ঐতিহাসিক দিনটা ব্যাটেই রাঙিয়েছেন দলপতি। প্রথমদিন শেষে ১৪ চার ও এক ছক্কায় ১৯৭ বলে অপরাজিত ঝলমলে ১২৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। সেঞ্চুরি দিয়ে এমন এক কীর্তি গড়েছেন রুট, যা টেস্টের শতবর্ষী ইতিহাসে আগে কখনো দেখা যায়নি।

ভারতে আসার আগে শ্রীলঙ্কায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে এসেছে ইংল্যান্ড। যার প্রতিটিতে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন রুট। প্রথমটিতে ২২৮ ও শেষটিতে ১৮৬ রানের ইনিংস খেলে ক্যারিয়ারের সেরা ফর্ম নিয়ে এসেছেন ভারতে, চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে দেখিয়ে দিলেন ধারাবাহিকতার ঝলক।

গলের দুই টেস্ট ছিল রুটের ক্যারিয়ারে যথাক্রমে ৯৮ ও ৯৯তম ম্যাচ। টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া রুটই টেস্ট ক্রিকেটের একমাত্র ব্যাটসম্যান, যিনি কিনা ৯৮, ৯৯ ও ১০০তম ম্যাচে গড়লেন সেঞ্চুরির দারুণ কীর্তি।

রুটের সঙ্গে কীর্তি গড়েছেন ওপেনার ডম শিবলিও। ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে তিনি মাত্র তৃতীয় ওপেনার, যিনি এক ইনিংসে ২৫০’র বেশি বল খেলেছেন উদ্বোধন করতে নেমে। শিবলির আগে কেবল ড্যানিস অ্যামিস ও জিওফ বয়কটের ওপেনার হিসেবে এক ইনিংসে ২৫০’র বেশি খেলার রেকর্ড আছে।

মজার বিষয় হচ্ছে, সবগুলো ইনিংসই ভারতের বিপক্ষে, তাদের মাটিতেই। ১৯৭৬ সালের ডিসেম্বরে দিল্লিতে ৩৯৭ বল খেলে ১৭৯ রান করেছিলেন ড্যানিস অ্যামিস। পাঁচ বছরের মাথায় ১৯৮১ সালে সেই দিল্লিতেই ৪৪০ বল খেলে ১০৫ রানের এক কচ্ছপ গতির সেঞ্চুরি তুলে নেন জিওফ বয়কট।

চেন্নাইয়ে প্রথমদিনে শিবলি বল খেলেছেন ২৮৬টি, ১২ চারে ৩০.৭৪ ধীর স্ট্রাইকরেটে সেঞ্চুরি তুলতে পারেননি, দিন শেষের মাত্র তিন বল বাকি থাকতে ৮৭ রানে আউট হয়েছেন জাসপ্রীত বুমরাহর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।

আউট হওয়ার আগে রুটের সঙ্গে ঠুকঠুক ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডকে ভালো অবস্থানে রেখে গেছেন শিবলি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুই ব্যাটসম্যানের ২০০ রানের জুটি ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান তুলে প্রথমদিন শেষ করিয়েছে সফরকারীদের।

অথচ দিনের প্রথম সেশনটা ছিল ভারতের দখলে। দলীয় ৬৩ রানের মাথায় ওপেনার ররি বার্নস ও ড্যান লরেন্সকে হারায় ইংলিশরা। ৩৩ রানের রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ২৪তম ওভারে উইকেটের পেছনে রিশভ পান্টের ক্যাচ হয়েছেন বার্নস। নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা লরেন্সকে ২৬তম ওভারে এলবির ফাঁদে ফেলেন বুমরাহ।

শততম টেস্টে দ্রুত উইকেটে এসে ইনিংস গড়ার কাজে মনোযোগ দিতে হয়েছে রুটকে। শুরুতে আস্তে এগোলেও ফিফটির পর মনোযোগ দেন রান বাড়ানোর দিকে। ১১০ বলের ফিফটিকে পরের পঞ্চাশে নিয়ে যান মাত্র ৫৪ বল খেলে।