চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শততম টেস্টের মাহেন্দ্রক্ষণে টাইগারদের জন্য শুভকামনা

শততম টেস্ট খেলার মাইলফলক অর্জন করছে বাংলাদেশ। এখন ফুটবল স্টেডিয়াম হয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে প্রায় দেড় যুগের যাত্রা শেষে কলম্বোর পি সারায় এ অনন্য অর্জন। এমন অর্জনের পথ অনেক চড়াই-উৎরাই ছিল, এখনো হয়তোবা কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের ধারেকাছেও যাওয়া যায়নি, তবুও এ মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে গর্বিত লাল-সবুজের বাংলাদেশ। উদযাপনের এ ম্যাচ টাইগাররা কতটুকু স্মরণীয় করে রাখতে পারবে সেটা সময়ই বলে দেবে, তবে আমরা চাই- বাড়তি চাপ না নিয়ে শততম টেস্ট ম্যাচ তারা উপভোগ করে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলুক। পরিসংখ্যান মতে, ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর থেকে শুরু করে ১৭ বছরে আমাদের মাত্র ১০০টি টেস্ট। বছরের হিসাবে এ সংখ্যাটা অনেক কম। শততম টেস্ট আরো অনেক আগেই হতে পারতো বলে আমরা মনে করি। তবে এটা না হওয়ার অবশ্য কারণও আছে। টেস্ট স্ট্যাটাসের শুরুর দিকে বড় বড় দলগুলো মোড়লিপনার কারণে আমাদের সঙ্গে খেলতে চাইতো না, এখানে আসতে চাইতো না। আবার ডাকতোও না। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটা বদলেছে। ক্রিকেট ভালো খেলছে বাংলাদেশ। ভালো খেলে বলেই মাঠে দর্শক  ভিড় করছে। স্বাধীনতার পর এই একটি ক্ষেত্রেই পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ। দেশের বিজয়ে তাই গভীর রাতেও আমরা সাধারণ মানুষের যেমন আনন্দ-উল্লাস আর বিজয় মিছিল দেখেছি, ঠিক তেমনি দলের পরাজয়ে সাধারণ মানুষের বুক ভাঙা কান্নাও দেখা গেছে। এ একটি ক্ষেত্রই সব শ্রেণির মানুষের মাঝে দেশপ্রেমের মশাল জাগিয়েছে। এ কারণে সবমিলিয়ে আমাদের দলের চাহিদা তৈরি হয়েছে অন্য দলগুলোর কাছেও। যারা একসময় খেলতে চাইতো না আমাদের সঙ্গে, তারা এখন আমাদের সঙ্গে খেলার শিডিউল পেলে নিজেরাই ধন্য হয়। এ অবস্থা ধরে রাখতে এবং খেলোয়াড়দের আরো বেশি করে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা বাড়ানোসহ সব ফরম্যাটে নিজেদেরকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি উদ্যোগী হতে হবে। পাশাপাশি দেশপ্রেমের আকাঙ্খিত এই জায়গাকে সব ধরণের রাজনীতির বাইরে রেখে দেশের স্বার্থে সরকার অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। শততম টেস্টের এই মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে সব ফরম্যাটে বিশ্বজয়ের আশায় টাইগারদের প্রতি আমাদের অভিনন্দন রইলো।