ইকুয়েডরের রাজধানী কিটো। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই শহরে খেলতে যাওয়া অন্য দেশগুলোর জন্য রীতিমত আতঙ্কের! বাতাসের স্বল্পতা ও অক্সিজেনের অভাব- দুই কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তুলনামূলক নিচে অবস্থিত দেশগুলো পারতপক্ষে খেলতে চায় না ইকুয়েডর, বলিভিয়ার মতো দেশগুলোতে। ২০১০ সালে বলিভিয়ায় খেলতে গিয়ে ৬-১ গোলে হেরে ফেরারও রেকর্ড আছে আর্জেন্টিনার।
সেই আর্জেন্টিনার ক্লাব ইউনিয়ন ডে সান্তা ফের কপাল খারাপ। কোপা সৌদামেরিকানাতে তাদের প্রতিপক্ষ হয়েছে ইকুয়েডরের ক্লাব ইন্ডিপেন্ডেন্টে ডেল ভায়ে। ম্যাচ হবে আতঙ্কের শহর কিটোতেই। আতঙ্ক দূর করতে বিকল্প ব্যবস্থা করেছেন সান্তা ফের চিকিৎসক সান্তিয়াগো কাল্ভো। বুধবার মাঠে নামার আগে তার দলের খেলোয়াড়দের গিলিয়ে দিতে চান যৌন উত্তেজনা বর্ধক ড্রাগ ‘ভায়াগ্রা’!
‘মূলত দুই কারণে অতি উচ্চতায় খেলোয়াড়দের খেলতে সমস্যা হয়! প্রথম কারণ সেখানে অক্সিজেনের প্রচণ্ড অভাব। আর এ কারণে ম্যাচের আধঘণ্টা আগে, বিরতির সময় ও ম্যাচের পরে কৃত্রিমভাবে খেলোয়াড়দের অক্সিজেন দেয়ার ব্যবস্থা করবো আমরা।’ -স্থানীয় এক রেডিওর সঙ্গে খেলোয়াড়দের সমস্যা কেনো হয় সেটা এভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন সান্তিয়াগো কাল্ভো।
‘আরেকটা কারণ হল, এই উচ্চতায় বায়ুমণ্ডল থেকে প্রচণ্ড চাপ অনুভূত হয়। তাতে শরীরে রক্ত চলাচলের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ফুসফুসের আশেপাশে ধমনীগুলো সংকোচিত হতে শুরু করে। এই সংকোচন অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের মধ্যকার প্রবাহে বিঘ্ন ঘটায়। আর এ কারণে খেলোয়াড়দের ভায়াগ্রা সেবন করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ভায়াগ্রা ফুসফুসের আশেপাশে রক্তপ্রবাহের ধমনীগুলো প্রসারণ ঘটায়।’
ভায়াগ্রা সেবন করতেই হবে এমন নিয়ম কানুন বেঁধে দিচ্ছেন না সান্তা ফের চিকিৎসক, ‘আমি খেলোয়াড়দের জোর করছি না। আর ভায়াগ্রা কোনো নিষিদ্ধ ওষুধও নয়।’
মাঠে নামার আগে খেলোয়াড়দের ভায়াগ্রা সেবন অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১৭ সালে বলিভিয়ার লা পাজে নামার আগে যৌন উত্তেজনা বর্ধক এই ওষুধ সেবন করেছিলেন আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের ফুটবলাররাও!