আফগানিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন দিলশান।
তবে ৯ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে ছিলো আফগানদের হাতেই। স্কোর বোর্ডে লঙ্কানদের রান তখন ২ উইকেটে হারিয়ে ৬০ রান। জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে লঙ্কানদের প্রয়োজন ৯৮ রান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। দিলশানের ব্যাটের কাছেই মূলত হেরেছে আফগানরা। দিলশানের ৮৩ রানের ইনিংসটি ৮ চার এবং ৩ ছক্কায় সাজানো।
আফগানদের ১৫৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিলশান-চান্ডিমাল জুটি থেকেই আফগানরা তুলে নেয় ৪১ রান। এরপর অল্প ব্যবধানে থিরিমান্নে বিদায় নিলেও জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি শ্রীলঙ্কার। ব্যাট হাতে প্রায় একাই লঙ্কানদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দিলশান।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে, আসগর স্তানিকজাইয়ের ৬২ রানের ওপর ভর করে শ্রীলঙ্কার সামনে ১৫৪ রানের লড়াকু টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে আফগানিস্তান।
তবে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানদের। দলীয় ১২ রানেই ব্যাক্তিগত ৮ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মোহাম্মদ শেহজাদ। তবে এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় আফগানিস্তান। নূর আলীর সঙ্গে ৩২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন করিম সাদিক।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। তার ঝড়ো ইনিংসটি ছিলো ১৪ বলের। শেষ পর্যন্ত আফগানদের ইনিংস থামে ১৫৩ রানে।
লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন থিসারা পেরেরা।