১২ বছর আগের ‘মিলানীয়’ রোমাঞ্চ দেখল ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। এবারের রোমাঞ্চটা অলরেডদের জন্য অবশ্য বিপরীত। ২০০৫ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এসি মিলানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ইস্তাবুলের আতাতুর্ক স্টেডিয়ামে সেদিন ম্যাচ জিতেছিল তারা। কিন্তু এবার গ্রুপপর্বের ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে তিন গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ড্র করেছে। ফলে নকআউট পর্বে যাওয়ার রাস্তাও ঝুলে গেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের।
সেভিয়ার ঘরের মাঠে দারুণ এক রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দিয়েছে দুদল। ব্রাজিলিয়ান রবার্তো ফিরমিনোর জোড়া গোলে প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। অন্য গোলটি করেন সাদিও মানে।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ফিরে আসে সেভিয়া। ৫১ ও ৬০ মিনিটে দলের হয়ে ব্যবধান কমান বেন ইয়েদের। এরপর শেষ মুহূর্তে পিজারুর গোলে লিভারপুলের বিপক্ষে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেভিয়া। এই ড্রয়ের ফলে ঝুলে থাকল লিভারপুলের নকআউট পর্বে খেলার সম্ভাবনাও।
ঘরের মাঠ ইতিহাদে ফেইনুর্দের বিপক্ষে হোঁচট খেতে খেতে বেঁচেছে ম্যানচেস্টার সিটি। রাহিম স্টার্লিংয়ের একমাত্র গোলে ইতিহাদে সিটির জয় ১-০ গোলের ব্যবধানে। আর ঘরের মাঠে শাখতার দনেৎস্ককে ৩-০ গোলে হারিয়েছে নাপোলি। এছাড়া মোনাকোর বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে লিপজিগ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে তুরস্কের ক্লাব বেসিকটাস। ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে পোর্তোকে ১-১ গোলে রুখে দিয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেয় পেপের দল।
তুরস্কের ইতিহাসের প্রথম ক্লাব হিসেবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নকআউপ পর্বে যাওয়ার রেকর্ড গড়ল বেসিকটাস।