স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চাওয়ায় জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম’র সহযোগিতায় ঢাকা পৌঁছেছেন দেড় শতাধিক বাংলাদেশি। দেশে ফেরার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অভিবাসীরা বলেছেন: ‘অল্পের জন্য জীবনটা বাঁচল’।
জানা গেছে: ফিরে আসা মধ্যে রয়েছেন যুদ্ধে আহত, সমুদ্র পথে ইউরোপ যেতে ব্যর্থ এবং লিবিয়ার জেলে বন্দি থাকা অভিবাসীরা।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম তাদের ভলান্টারি হিউম্যানাটেরিয়ান রিটার্ন (ভিএইচআর) কর্মসূচির আওতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। আইওএম এই অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনতে ভাড়া করে বিশেষ একটি বিমান। যা মঙ্গলবার লিবিয়ার মিসারত বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছায়।
লিবিয়া ফেরত ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর-এর মো. আকবর চার বছর আগে লিবিয়ায়ি গিয়েছেন পারিবারের ভাগ্য বদলাতে। দেশে ফিরে তিনি জানিয়েছেন: গ্রামের দালাল ধরে লিবিয়ায় গিয়েছিলেন। বেতন ছিল খুবই কম। কোনমতে নিজে চলতে পারতেন। যে কারখনায় আকবার কাজ করতেন হঠাৎ বিমান হামলা হয় সেখানে। ৪ বাংলাদেশীসহ ১৩ জন মারা যায়।
“সে এক ভায়াবহ অভিজ্ঞতা। মনে হল অল্পের জন্য জীবনটা বাঁচল। সিদ্ধান্ত নিলাম দেশে ফিরে আসব।”
আইওএম বাংলাদেশের গিওর্গি গিগাওরি বলেন: লিবিয়ার প্রতিকূল অবস্থা অব্যাহত থাকায় ঝুকিপূর্ণ বাংলাদেশিদের সুরক্ষা ও সহায়তা দিতে সর্বদা আমরা তৎপর। যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে তাদের তাৎক্ষণিক সব ধরনেরর সহযোগিতা নিশ্চিত করছি আমরা।
একই সাথে ফিরে আসা অভিবাসীদের দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে আইওএম বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে বাড়ি ফিরতে প্রত্যেককে নগদ অর্থ, খাবার, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মানসিক সেবা দেওয়া হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে, বাংলদেশ সরকার ও লিবিয়া কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৪শ’রও বেশি বাংলাদেশীদের দেশে ফিরতে সহযোগিতা করছে আই্ওএম।
বিশ্বব্যাপী ভিএইচআর প্রোগ্রামটির সহযোগিতায় ঝুকিপূর্ণ অভিবাসীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ও সহায়তা দিয়ে থাকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা।