গত ডিসেম্বরে বিদায় নেয়া কোচ ওলে গানার সোলশেয়ারের পরিবর্তে ম্যানইউকে একত্র করতে আসেন রালফ র্যাঙ্গনিক। রেড ডেভিলদের ডেরায় ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব নিয়ে ইতিমধ্যে অনেককিছু দেখে ফেলেছেন জার্মান কোচ।
দুদিন আগে মিডলসবরোর কাছে হেরে এফএ কাপ থেকে বাদ পড়েছে তার দল। এমন অবস্থায় জার্মান বস জড়িয়েছেন বড় বিতর্কে। দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় মিডিয়ায় জানিয়ে পড়েছেন খেলোয়াড়দের তোপের মুখে।
এফএ কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ায় খেলোয়াড়রা কোচকে দুষছেন না। বরং তারা প্রশ্ন তুলেছেন র্যাঙ্গনিকের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে। ইংলিশ পত্রিকা ‘দ্য সান’ কোচের বরাতে জানিয়েছে, মিডফিল্ডার জেসে লিনগার্ড মিডলসবরোর বিপক্ষে খেলতে চাননি। সেটা নিয়েই তুলকালাম অবস্থা।
সংবাদমাধ্যমে বলা র্যাঙ্গনিকের মন্তব্যকে ভুল বলেছেন লিনগার্ড। জানিয়েছেন, খেলতে চাননি এমন বলেননি। বলেছিলেন, ব্যক্তিগত কাজের জন্য কিছুটা সময় নিচ্ছেন।
যদিও র্যাঙ্গনিক বলেছেন উল্টো, সেটিও আবার সংবাদমাধ্যমে। কোচের এমন কাজ মানতে পারছেন না ক্লাবটির বেশ কজন সিনিয়র-জুনিয়র খেলোয়াড়। তাদের যুক্তি, ব্যক্তিগত কারণগুলো কেনো কোচ ঢোল পিটিয়ে বলবেন।
লিনগার্ড ইস্যুতে ম্যানইউ ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ঘোলাটে হচ্ছে। ক্লাবের এক সূত্র দ্য সান’কে বলেছেন, ‘এটা একত্র হওয়ার সময়, জনসমক্ষে কথা বলে বিভেদ সৃষ্টি করার নয়। বাইরে গিয়ে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে বলা ম্যানইউর হয়ে কাজ করার পক্ষে সঠিক উপায় নয়।’
অবশ্য ম্যানইউ বসের এমন ধরনের বক্তব্য এটাই প্রথম নয়। ওল্ড ট্রাফোর্ড ছেড়ে যাওয়া অ্যান্থনি মার্শালকে নিয়ে একই রকম মন্তব্য করেছিলেন তিনি। লিনগার্ডের মতো মার্শালও পরে সেটির উল্টো কথা জানান।