মোহাম্মদ সামির বলে মাথায় আঘাত পাওয়া লিটন দাস ও নাঈম হাসানকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। রাতে অবশ্য দু’জনে আবার ইডেনের ড্রেসিংরুমে ফিরে আসেন। ততক্ষণে দ্বিতীয় দফার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হোটেল থেকে ইডেনে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফিরে আহত ক্রিকেটারদের খবরও নেন তিনি।
দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর শেখ হাসিনা ও মমতা ব্যানার্জীকে মাঠের মাঝখানের মঞ্চে দেয়া হয় জমকালো সংবর্ধনা।
শেখ হাসিনা নিজেই দুই আহত ক্রিকেটারকে ডেকে পাঠান নিজ বক্সে। লিটন আর নাঈম সেখানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। চোট গুরুতর নয় বলে আশ্বস্ত করা হয় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় সকলে মুগ্ধ হন সেসময়।
বাংলাদেশকে মুগ্ধ করতে পারতেন আরও একজন। পেসার ইবাদত হোসেন। সিলেটের বছর ২৫’র যুবকের ঝুলিতে গোলাপি বলে রোহিত শর্মা আর চেতেশ্বর পূজারার উইকেট। তারপরই যেটা করেন, তাতেই ইডেনে ইবাদতকে নিয়ে আলোচনা। আসলে আউট করে স্যালুটের ভঙ্গিতে ইবাদতের সেলিব্রেশন নিয়েই মৃদু গুঞ্জন। কেন এই সেলিব্রেশন?
এ ধরনের সেলিব্রেশন করতে দেখা যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেল্ডন কটরেলকে। তিনি এক সময় কাজ করতেন সেনাবাহিনীতে। ইবাদতও বাংলাদেশের বিমান বিভাগের কর্মী। তাই ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেকোনো রকম আউটের পরই স্যালুট দিয়ে সেলিব্রেশন করা তার স্টাইল।