বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ ইস্যুতে বিএনপি-জামায়াতের গত ৭ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হিসেবে গড়মিল পেলে আইন অনুযায়ী বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হতে পারে।
এই বিষয়ে তথ্য প্রমাণ পেলে বিএনপির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ অর্থপাচারের মামলা হবে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের মূখ্য আইনজীবী জানান, এর দায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, লবিস্ট নিয়োগের কোনো আইন বাংলাদেশে নাই। এটা এক ধরনের ব্রোকারি। যার অর্থ হলো টাকা দিয়ে নিজের দেশের জন্য বদনাম কিনে নেওয়া। এই কাজটি করা আইনের চোখে রাষ্ট্রদোহ এবং অর্থপাচার এই দুই ধরনের অপরাধের সামিল।
দেশ বিরোধী চক্রান্তে বিএনপি জামায়াত জোট বিদেশে আটটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে বলে জানিয়েছে সরকার। দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে এসব চক্রান্তের উৎস খুঁজতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা শাথা এনবিআর এবং দুদক একসাথে কাজ করছে। দুদকের মুখ্য আইনজীবী জানান এই চক্রান্ত রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ।
অপরদিকে জামায়াত এবং বিএনপির বিগত সাত বছরের দলের আয় ব্যয়ের হিসাব মিলিয়ে দেখতে ইসিকে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র দফতর। যদিও আদালতের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন নেই তবুও তাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বিএনপির আর্থিক হিসাব সঠিক কিনা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার বৈঠক করবে ইসি।
ইসির রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বলছে, পরপর তিনবছর যদি কোন দল তাদের দলের আয় ব্যয়ের হিসাব জমা না দেয় তাহলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে। একইসাথে কোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের আয় ব্যয় হিসাবের তথ্য গোপন করে সেক্ষেত্রে নিবন্ধন বাতিল করার আইন রয়েছে ইসির হাতে।