ছিলেন সেরা তিনে, সেখান থেকে সবশেষ প্রকাশিত আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় দুইধাপ অবনতি হয়েছে বিরাট কোহলির। ভারত অধিনায়ক এখন পাঁচ নম্বর স্থানে। তিনে উঠে এসেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট।
একই তালিকায় উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটারদেরও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে হারলেও এগিয়েছেন সাকিব আল হাসান, মুমিনুল হক ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে ১১ ও ৭২ রানের দুটি ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি, তার দল হেরেছে ২২৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। বুধবার আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভারত অধিনায়কের রেটিং পয়েন্ট ৮৫২, অবনতি হয়েছে দুই ধাপ।
দুধাপ উন্নতি হয়েছে কোহলির প্রতিপক্ষ রুটের। চেন্নাই টেস্টে দারুণ এক জয়ে ঐতিহাসিক ডাবল সেঞ্চুরিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক। তিন টেস্টে দুই ডাবল সেঞ্চুরিতে তার রান ৬৮৪। বর্তমানে র্যাটিং ৮৮৩। ২০১৭ সালের পর এটাই রুটের সেরা র্যাঙ্কিং।
রুটের চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট বেশি নিয়ে যথারীতি শীর্ষে কেন উইলিয়ামসন, কিউই অধিনায়কের রেটিং পয়েন্ট ৯১৯। ৮৯১ রেটিংয়ে দুইয়ে অজিদের সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ, ৮৭৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছেন আরেক অস্ট্রেলিয়ান মার্নাস লাবুশেন।
একবছরের বেশি সময় পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফিফটি পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। চার ধাপ উন্নতিতে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের আসাদ শফিকের সঙ্গে যৌথভাবে ৩০তম স্থানে আছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
ক্যারিয়ারের ১০ম সেঞ্চুরিতে ৮ধাপ এগিয়ে ৩৩তম স্থানে এসেছেন টাইগার টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। ২২তম স্থানে থেকে বাংলাদেশিদের মধ্য শীর্ষে মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে উন্নতি হয়েছে কেবল মেহেদী মিরাজের। চট্টগ্রাম টেস্টে ৮ উইকেট নিয়ে চার ধাপ এগিয়েছেন ডানহাতি অফস্পিনার, তার বর্তমান র্যাঙ্কিং ২৪। তার ঠিক উপরেই অবস্থান সাকিবের। ২৭ নম্বরে আছেন তাইজুল ইসলাম।
অভিষেক টেস্টের পারফরম্যান্স দিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে ঢুকে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যান কাইল মেয়ার্স। বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ২১০ রানের ইনিংসটি ১১৮ বছরে অভিষেকে সেরা। ১৯০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রেজিনাল্ড ফস্টারের ২৮৭ রানের ইনিংসটি এপর্যন্ত টেস্ট অভিষেকে সেরা। ৪০ ও অপরাজিত ২১০ রানের ইনিংসে এক লাফে ৭০তম স্থানে চলে এসেছেন মেয়ার্স।