রাজধানীর হাজারীবাগে কিশোর রাজা হত্যার মূল হোতা আরজু র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত। শান্তিনগরে র্যাবের ধাওয়া খেয়ে ছাদ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু। মাগুরায় মায়ের গর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ এবং একজন নিহত হওয়ার মামলায় আসামী আজিবর পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত। ব্লগার অভিজিৎ রায় ও অনন্ত বিজয় হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৩ জন র্যাবের জালে আটক। ।
একরাতে চারটি বড় ঘটনা।
তবে বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অপরাধের মাত্রায় বন্দুকযুদ্ধে আসামীর মৃত্যুর ঘটনাকে অনেকে ‘তাৎক্ষণিক এবং উপযুক্ত বিচার’ হিসেবে উল্লেখ করলেও ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের’ জন্য সমালোচনার মুখেও এলিট ফোর্স র্যাব এবং পুলিশ।
পুলিশ-র্যাবের একরাতের এ কর্মকাণ্ডকে কাকতাল বলতে রাজি নন পুলিশের সাবেক আইজি নুরুল হুদা।
তিনি বলেন: এখন উদ্বেগের জায়গাটা হচ্ছে তরুণ-তরুণীরা অনেক অন্যায়ে জড়িয়ে যাচ্ছে। আগেও এমন ঘটনা ঘটতো হয়তো, তখন সেটা ঠিক করে সামনে আসতো না। যদি উপযুক্ত কারণের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ-র্যাবের অপারেশন হয়ে থাকে, তাহলে এসব নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে। আরো কর্মতৎপরও হয়ে উঠবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
তবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘নিজেরা করি’র চেয়ারম্যান খুশী কবির বললেন ভিন্ন কথা।
‘কারো জীবন নেওয়ার অধিকার কারো নেই। সেটা সন্ত্রাসী হোক বা পুলিশ হোক। শুধু যদি বিচারক কারো মৃত্যুদণ্ড দেন, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার জীবন নিতে পারে। তা না হলে নয়,’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।।
সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে পুরো প্রক্রিয়াকেই সেই রকম করে গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করেন খুশী কবির।
তিনি বলেন: প্রয়োজনে কোর্টের সংখ্যা আরো বাড়াতে হবে। কেউ যেনো আইনের হাত থেকে রেহাই না পেয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলেই কেবল এসব সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।